ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ২৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বুধবার রাজধানীর আফতাবনগর খেলার মাঠে সমাবর্তন হয়। এ সময় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ২ হাজার ৮৬১ শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়।
সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি প্রদান করেন। এ ছাড়া অনন্য মেধাবী চার শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক। ইউনিভার্সিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অবদানের কথা উল্লেখ করে এমফিল ও পিএইচডি গবেষণার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।
এরপর শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার পাবলিক বা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মতো দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন এমন মানে উত্তীর্ণ হয়েছে যে তাঁদের আরও উচ্চতর গবেষণা, অর্থাৎ এমফিল–পিএইচডি ডিগ্রির অনুমতি দেওয়ার সময় এসেছে।
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা জার্মানির কুহনে লজিস্টিকস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যালান ম্যাককিনন বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে তেমন ভূমিকা না থাকলেও অনেক বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ। তাই সমস্যা ও সংকট মোকাবিলার জন্যই সাপ্লাই চেইন বিষয়ে জ্ঞান ও দক্ষতা রাখে, এমন যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী বলেন, আজকের বিশ্বে কাজ করতে সমস্যা সমাধান, সমালোচনামূলক চিন্তা, উদ্ভাবনী ক্ষমতার মতো দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাই পরিবর্তিত প্রয়োজনীয়তার সঙ্গে চলতে দেশ ও সমাজের বৃহত্তর স্বার্থের দিকে নজর দিতে গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি পরামর্শ দেন তিনি।
ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক শামস রহমান বলেন, ‘আমরা শিক্ষা ও গবেষণার মধ্যে ভারসাম্য আনার চেস্টা করছি। ইন্ডাস্ট্রি যে ধরনের গ্র্যাজুয়েট চায়, সে ধরনের শিক্ষাক্রম চালু করেছি।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, সহ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারপারসন, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, গ্র্যাজুয়েট ও তাঁদের অভিভাবকেরা অংশ নেন।