সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে জাদুঘরের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ইতিহাস, ঐতিহ্য, শুদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে জাদুঘর সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মনে ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনে। একই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, ঝুঁকি নিয়েও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে জাদুঘরের ভূমিকা রয়েছে। এ বছর আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস উপলক্ষে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও ঝুঁকি নিয়ে। আজ বুধবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা উঠে আসে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে অনুষ্ঠিত এ সভায় মূল বক্তব্য দেন হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব মিউজিয়ামস, বাংলাদেশের সাবেক চেয়ারপারসন জাহাঙ্গীর হোসেন। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে বাংলাদেশের বিভিন্ন জাদুঘরের গুরুত্ব ও দর্শনার্থীদের মনে এর প্রভাবের কথা। অসুস্থ, প্রবীণ, শিশু, দৃষ্টি বা শ্রবণপ্রতিবন্ধীদের জাদুঘর পরিদর্শনে সুব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরেন তিনি। এ সময় জাদুঘরের নিদর্শন, প্রদর্শনীর ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গটি নিয়েও আলোচনা হয়।
বক্তারা বলেন, জাদুঘর এমন একটি জায়গা, যেখানে দর্শনার্থীদের ধর্ম, বর্ণ, পরিচয়ের শ্রেণিকরণ নেই। সব মানুষের জন্য নিরপেক্ষ জায়গা হচ্ছে জাদুঘর। ‘জাদুঘর, স্থায়িত্ব এবং সমৃদ্ধি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১৮ মে পালিত হবে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবস।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘর, বিজ্ঞান জাদুঘরসহ বিভিন্ন জাদুঘরের কর্মকর্তারা। আলোচনা শেষে শুরু হয় তাঁদের পক্ষ থেকে পরামর্শ পর্ব। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের এ আয়োজনে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি সারা যাকের।