সাবেক মন্ত্রী কামরুলের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামফাইল ছবি

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করা হয় বলে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

দুদক বলছে, ৬ কোটি ২৯ লাখ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার পর কামরুলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাঁর স্ত্রী তায়েবা ইসলামের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকতে পারে।

দুদক বলছে, কামরুলের ছেলে তানজীর ইসলামের ১ কোটি ৪৬ লাখ ১৫ হাজার ৭৯৫ টাকা এবং মেয়ে সেগুপ্তা ইসলামের ১ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৯২৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। তাঁর দুই সন্তানের নামে আরও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ থাকতে পারে। এ জন্য দুদকে তাঁদের আলাদা আলাদা সম্পদ বিবরণী জমা দিতে বলা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি কামরুলের নামে ৬ কোটি ২৯ লাখ ১৯ হাজার ১৯৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া গেছে। এটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪–এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

এতে আরও বলা হয়, অভিযোগ–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি ছিলেন এবং তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন, যার গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

মো. কামরুল ইসলামের নিজ ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত ১৫টি হিসাবে মোট ২১ কোটি ১৮ লাখ ১৫ হাজার ৪৬৫ টাকা লেনদেন করেন। তিনি এই টাকা সন্দেহজনকভাবে হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তর করেছেন, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২, এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর উত্তরা–১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ১৯ নভেম্বর তাঁকে নিউমার্কেট থানার একটি হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি হত্যা মামলা রয়েছে।

২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য হন। ২০০৮ সালে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০১৪ সালে তাঁকে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।