বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইসমাইলকে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল হোসেন হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ রায় দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী শওকত জামান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া তিনজন হলেন হাসিবুল হোসেন (২৯), মো. শ্রাবণ (২৪) ও আব্দুল্লাহ আল নোমান (২০)। তাঁরা তিনজনই বন্ধু। মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সজনী আক্তার নামের একজন।
রায় ঘোষণার পর হাসিবুল ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর শ্রাবণ পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
ইসমাইল হোসেন ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন।
মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইসমাইল হোসেন পড়াশোনার পাশাপাশি পাঠাওয়ে মোটরসাইকেল চালাতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে মোটরসাইকেল নিয়ে শ্যামলীর বাসা থেকে তিনি বের হন। কিন্তু সেদিন বাসায় না ফিরলে পরদিন তাঁর বাবা সাব্বির হোসেন শেরেবাংলা নগর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের ১১ দিন পর ২৩ মে গাজীপুরের গাছা থানা এলাকার একটি বাসার সেফটি ট্যাংক থেকে ইসমাইলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২২ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি আদালত ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
মামলার অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, মামলার প্রধান আসামি হাসিবুল হোসেন সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইসমাইল হোসেনকে অফ লাইনে ৮০০ টাকায় গাজীপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভাড়া করেন। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার আরেক আসামি আব্দুল্লাহ আল নোমান জুস কেনেন। পরে ইসমাইলকে গাজীপুরের বাসায় নিয়ে যান হাসিবুল। ইফতারির সময় ঘুমের ওষুধ মিশ্রিত জুস ইসমাইলকে খাওয়ানো হয়। পরে অচেতন হয়ে পড়লে তাঁরা শ্বাস রুদ্ধ করে ইসমাইলকে হত্যা করেন। পরে তাঁর মরদেহ সেফটিক ট্যাংকের ভেতর ফেলে দিয়ে তাঁর মোটরসাইকেলটি নিয়ে যান।
হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেন আসামি হাসিবুল হোসেন।