বরিশালের নার্সিং কোয়ার্টার পুকুর ভরাটে নিষেধাজ্ঞা

হাইকোর্টফাইল ছবি

বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ‘নার্সিং কোয়ার্টার পুকুর’ ভরাট কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

বরিশাল জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (নিপোর্ট) অধ্যক্ষের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুকুরটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) চলতি বছরের জানুয়ারিতে রিটটি করে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

বেলা জানায়, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন বগুড়া আলেকান্দা মৌজায় (এসএ ২৪৫৪ দাগ) অবস্থিত ৩২ দশমিক ২ শতাংশ আয়তনের পুকুরটি, যেটি ‘নার্সিং কোয়ার্টার পুকুর’ নামে পরিচিত। শতবর্ষী পুরোনো পুকুরটি সাধারণের গার্হস্থ্যকাজের জন্য ব্যবহার্য হিসেবে রেকর্ডভুক্ত। নগরীর পরিবেশ রক্ষায় ও জলাবদ্ধতা নিরসনে পুকুরটির ভূমিকা অপরিসীম। জনগুরুত্বপূর্ণ এই পুকুরের উত্তর পাশে হাসপাতাল রোড–সংলগ্ন দেয়াল ভেঙে শতাধিক ট্রাকের মাধ্যমে বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে এ পুকুরের প্রায় অর্ধেক ভরাট করা হয়েছে। বরিশাল নগরের পরিবেশবাদীরা পুকুর ভরাট বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল বিভাগের পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক পরিদর্শন করে পুকুর ভরাট বন্ধ করতে ও ভরাট করা অংশের বালু অপসারণের জন্য বরিশাল জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপপরিচালক ও জেলার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অনুরোধ জানান। এতে ফল না পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দরা এ বিষয়ে বেলার সহযোগিতা চেয়ে আবেদন করেন। এরপর বেলা ওই রিট করে।