চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজডুবি: চারজনের মরদেহ উদ্ধার

নৌ দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ছয়জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। শুক্রবার ভোররাত থেকে দুপুরের মধ্যে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

কোস্টগার্ড জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া চারজনের মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন স্বজনেরা। এই তিনজন হলেন সুরুজ মিয়া (২২), নাজমুল হাসান (২৭) ও জাহিদুল ইসলাম (২৯)। তাঁদের বাড়ি মাগুরা জেলায়। আরেকজনের মরদেহ এখনো শনাক্ত করা যায়নি।

গত বুধবার বেলা পৌনে তিনটায় বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে পাথরবোঝাই করে ফেরার পথে এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩-এর সঙ্গে সংঘর্ষে এমভি সুলতান সানজানা ডুবে যায়। জাহাজটিতে মোট ৯ জন নাবিক ছিলেন। জীবিত অবস্থায় ওই দিন তিনজনকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড।

এরপরে নিখোঁজ নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী। শুক্রবার ভোরে পতেঙ্গায় ঘটনাস্থলের আশপাশে দুজন এবং দুপুরে ভাটিয়ারী এলাকায় সাগরতীর থেকে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। নৌবাহিনী ঘটনাস্থলের আশপাশের এলাকা থেকে সকালে অন্য আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কাজী আল আমিন শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ আরও দুজনকে উদ্ধারে অভিযান চলছে। উদ্ধার করা মরদেহগুলো নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ডুবে যাওয়া জাহাজটি ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের আওতায় চলাচল করত। লাইটার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের আওতার বাইরে যেসব জাহাজ চলাচল করে, সেগুলো বেশি ট্রিপের আশায় দ্রুত চালান জাহাজের মাস্টাররা। এই দুর্ঘটনার কারণও বেপরোয়া চলাচল।  

ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল জানায়, ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে ৮৫০ টন পাথর ছিল। এটির আমদানিকারক সিলেটের মেসার্স ফকরুদ্দিন।