বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় বাসায় ঢুকে গৃহবধূ উম্মে সালমাকে (৫০) হত্যার পর লাশ ফ্রিজে রাখার মামলায় গ্রেপ্তার তাঁর ছোট ছেলে শাদ বিন আজিজুরকে (১৯) জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ মো. শাহজাহান কবির শুনানি শেষে জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।
এর আগে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাদের জামিন নামঞ্জুর করলে আইনজীবীর মাধ্যমে বগুড়ার জ্যেষ্ঠ জেলা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
১৭ নভেম্বর উম্মে সালমা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁরা হলেন ওই বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা ও সুমন রবিদাস।
১০ নভেম্বর দুপুরে দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরের একটি চারতলা বাড়ির তিনতলার একটি ফ্ল্যাটের রেফ্রিজারেটর থেকে সালমার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি দুপচাঁচিয়া ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আজিজুর রহমানের স্ত্রী। তাঁরা ভবনটির মালিক। সালমাকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে ঘটনার পরদিন তাঁদের ছোট ছেলে শাদকে (১৯) আটক করে র্যাব। ওই দিনই দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব-১২-এর বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. এহতেশামুল হক খান দাবি করেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন শাদ। তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু তদন্তে ভিন্ন তথ্য পেয়ে সালমাদের বাসার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানা, সুমন রবিদাস ও মোসলেম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে তিন আসামি বলেছেন, চারতলার ভাড়াটে মাবিয়া সুলতানার বাসায় বিভিন্ন লোক যাতায়াত করতেন। এতে বিরক্ত হয়ে সালমা মাবিয়াকে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোসলেম ও সুমনকে নিয়ে সালমাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন মাবিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সালমাকে হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রেখে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে চলে যান আসামিরা। সালমার বাসার চাবি রেখে দেন মাবিয়া। আর ওই বাসা থেকে খোয়া যাওয়া মুঠোফোন, ইন্টারনেট-সেবায় ব্যবহৃত রাউটার মোসলেম নিজের কাছে রাখেন।