বাফুফে সভাপতিসহ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশ হাইকোর্টের
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কোনো ধরনের ব্যর্থতা ছাড়াই সম্ভাব্য চার মাসের মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) এই অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন।
আদালত বলেন, বাফুফেতে ফিফা (ফুটবলের বৈশ্বিক সংস্থা) ও সরকারের দেওয়া অর্থ নিয়ে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ, জালিয়াতির বিষয়ে অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
বাফুফে কর্তাদের দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চেয়ে ৩ মে দুদক চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক। এতে ফল না পেয়ে তিনি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় গতকাল রোববার রিটটি দায়ের করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী সায়েদুল হক নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সাইফুদ্দিন খালেদ ও দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান শুনানি করেন।
এ ছাড়া কাজী সালাউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ মামুন ও আবু নাঈম সোহাগের পক্ষে আইনজীবী মারগুব কবির শুনানিতে ছিলেন।
রুলে বাফুফের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, অর্থ আত্মসাৎ ও জালিয়াতির অভিযোগে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম নিতে অনুসন্ধানে বিবাদীদের ব্যর্থতা/ নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়াসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।