চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত সাইফুল ঢাকায় মারা গেছে
চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (১৬) ১ মাস ২৬ দিন লড়াই করে অবশেষে হার মানল। আজ সোমবার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এই কিশোরের মৃত্যু হয়। সাইফুল ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের মধ্যম কৌশলাপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে।
কিশোর সাইফুলের বাবা আলতাফ হোসেনের তিন মেয়ে এক ছেলের মধ্যে সাইফুল সবার বড়। বড় সন্তানকে হারিয়ে শোকের সাগরে ভাসছে পরিবারটি। প্রথম আলোকে সাইফুলের বাবা বলেন, গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয় তাঁর ছেলে। এ সময় সে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত পায়। ঘটনার পর প্রথমে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত সাইফুল দাগনভূঞা উপজেলার দরবেশহাট ফাজিল মাদ্রাসার দাখিল শ্রেণির ছাত্র ছিল। ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর সে নিয়মিত রাজপথে মিছিল-মিটিংয়ে অংশ নিত। গত ৪ আগস্ট চট্টগ্রামে আন্দোলনে গিয়ে সে মাথায় গুরুতর আঘাত পায়।
ফেনী জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত ৪ আগস্ট ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হামলায় ঘটনাস্থলে আটজন নিহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা যান। তা ছাড়া ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে সাইফুলসহ ফেনীর আরও তিনজন শহীদ হয়েছেন।
দাগনভূঞা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিবেদিতা চাকমা জানান, ‘নিহত সাইফুলের পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে চলেছি। ঢাকা থেকে লাশ নিয়ে আসা হলে থানার ওসিকে নিয়ে আমি যাব। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।’