চসিকের গৃহকরে 'ঘুষ বাণিজ্যে' তদন্তে দুদককে স্মারকলিপি
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের গৃহকরের আপিল শুনানি নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের 'ঘুষ বাণিজ্য' তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে দুদক কার্যালয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মাহমুদ হাসানের হাতে স্মারকলিপি তুলে দেন চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতারা।
স্মারকলিপিতে অভিযোগ করা হয়, গত ২১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের কদমতলীতে সুরক্ষা পরিষদের প্রতীকী গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে করদাতারা গৃহকর দিতে গিয়ে তাঁদের ভোগান্তির বর্ণনা দেন। এতে দেখা যায় করপোরেশনের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আপিলে গৃহকর কমানোর কথা বলে ব্যাপক ঘুষ গ্রহণ করেন। স্থাপনার ভাড়ার ওপর নির্ধারণ করা অস্বাভাবিক গৃহকর আপিলের মাধ্যমে কমানোর প্রক্রিয়ায় এসব কর্মকর্তারা প্রায় ২০০ কোটি টাকা ভবন মালিকদের কাছ থেকে নিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন, জাতীয়তা, মৃত্যু সনদের মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তুলতে ঘুষ প্রদান ছাড়া নাগরিকের কোন উপায় থাকে না। করপোরেশনের প্রকল্পের কাজ, ক্রয়, টেন্ডার প্রক্রিয়া ইত্যাদিতে অসাধু কর্মকর্তা ও কিছু কাউন্সিলর জড়িয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যে একটি গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তের সুপারিশে দু'জনকে চাকরিচ্যূত এবং ও ০ জনকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। সুরক্ষা পরিষদ মনে করে করপোরেশন দুর্নীতির সূতিকাগারে পরিণত হয়েছে, তাই দুদক যেন গভীর নিষ্ঠার সাথে তদন্ত করে নাগরিকদের রেহাই দেন।
স্মারকলিপি দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন সুরক্ষার সভাপতি মো. নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক ও চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক মুহম্মদ অমির উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস ও এম, এ মালেক, পরিষদের সংগঠক শহীদুল হক, হাসান মারুফ, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।