বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাছচাপায় ও দেয়াল ভেঙে পড়ে।
ঝোড়ো হাওয়ায় বিধ্বস্ত হয়েছে দেড় লাখ ঘরবাড়ি, বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। ভেসে গেছে মাছের ঘের। কিছু স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ ভেঙে সাগরের লোনাপানি ঢুকে পড়েছে। সুপেয় পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় তিনজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মানুষ মারা গেছেন।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ডাল ভেঙে ও গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ–সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক কোটি মানুষ বিদ্যুৎ–বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তবে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও এখনো প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎ–সুবিধার বাইরে আছেন। গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।
মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না অনেক স্থানে। মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ১৫ হাজার বেজ ট্র্যান্সিভার স্টেশন (বিটিএস, যা মোবাইল টাওয়ার নামে পরিচিত) গতকাল পর্যন্ত বন্ধ ছিল। এগুলো চালু করতে তাঁরা কাজ করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬৪টি জেলায় ২২ হাজার ২১৮টি ওয়েবসাইট অসচল রয়েছে। অর্থাৎ দেশের মোট সাইটের প্রায় ৪৯ শতাংশই অসচল রয়েছে।
১৯ জেলায় তাণ্ডব
গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি। এ ছাড়া আংশিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯২টি ঘরবাড়ি।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়া ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর।
ঘূর্ণিঝড়টি গত রোববার রাত আটটার দিকে মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ উপকূল ও বাংলাদেশের খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, বরগুনাসহ উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যায়। রাত দেড়টা থেকে দুইটার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১১১ কিলোমিটার গতিবেগে বাতাস বয়ে গেছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তার জন্য ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি জেলায় নগদ সহায়তার ৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, ৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, শিশুখাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা, গোখাদ্য কেনার জন্য ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে।
ভেঙেছে বাঁধ, সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
খুলনার পাইকগাছায় ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে সাগরের লোনাপানিতে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ। খাবার পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে।
কয়েকটি ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বাঁধ ভেঙে উপজেলার লতা, সোলাদানা, গড়াইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, রাড়ুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
উপজেলার গড়াইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামে শিবসা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় গড়াইখালী ও চাঁদখালী ইউনিয়নের ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলার দাকোপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়।
রাতভর বাঁধের ওপর কাদামাটিভর্তি বস্তা দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা; কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার ভোরের দিকে খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের কপোতাক্ষ নদের বাঁধ ও মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে কয়রা নদীর বাঁধ জোয়ারের চাপে ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।
জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসের পানির চাপে বাগেরহাটে ভেসে গেছে মাছের কয়েক হাজার ঘের। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলায় মাছের প্রায় ২২ হাজার ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলায়।
পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পটুয়াখালী-গলাচিপা সড়কের আমখোলা ইউনিয়নের সুহরি এলাকার জলকপাটের সংযোগ সড়ক জলোচ্ছ্বাসের কারণে ভেঙে গেছে। গতকাল সকাল থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে। জেলা শহর থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সড়কের শহরের চৌরাস্তা এলাকায় অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কে চলাচল।
ঝড়ের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতটি পানিতে তলিয়ে ছিল। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, কুয়াকাটা সৈকত গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে ছিল।
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। দমকা বাতাসের সঙ্গে প্রবল বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকায় কিছু কাঁচা ঘর ভেঙে গেছে, উপড়ে পড়েছে গাছপালা। এ ছাড়া কিছু চিংড়িঘেরও ভেসে গেছে।
শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের অনেক স্থানে ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। আবার কোথাও কোথাও গাছের ডাল ভেঙে পড়েছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামে কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। একাকার হয়ে গেছে মুন্সিগঞ্জ থেকে নীলডুমুর যাওয়ার সড়কের দুই পাশের চিংড়িঘেরগুলো।
কক্সবাজারের মহেশখালী পৌর এলাকা, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি। বন্ধ রয়েছে মাতারবাড়ী সড়ক যোগাযোগ।
ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রায় ৫২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
হাতিয়ার ইউএনও শুভাশিষ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে হাতিয়ায় ৫২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো নিঝুম দ্বীপ। সেখানকার বেশির ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে পুরো নিঝুম দ্বীপ চার-পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুবর্ণচরের ইউএনও আল আমিন সরকার জানিয়েছেন, গাছপালা উপড়ে পড়ে সড়ক যোগাযোগে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গাছ কেটে চলাচল স্বাভাবিক করছেন।
বাগেরহাটে অন্তত ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ছাড়া আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি। গতকাল জেলা প্রশাসন সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর, খ্রিষ্টানপল্লি, পশ্চিম হাজীপুর, নবীপুর, ফতেহপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জোয়ারে জালালপুর গ্রামসংলগ্ন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ উপচে লোকালয় প্লাবিত হয়। একই ইউনিয়নের গৈয়াতলা ও নিচকাটা জলকপাট এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর দিয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে।
ঝালকাঠিতে দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন শতাধিক গ্রামের মানুষ। গতকাল দুপুরে কথা হয় ঝালকাঠি শহরের পৌরসভা খেয়াঘাট এলাকার বাসিন্দা সুলতান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমার বসতঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। রাতে আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছি। সকালে এসে দেখি, ঘরের মালামাল সব পানিতে ডুবে আছে। এখনো পানি নামছে না।’
রোববার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে খুলনা নগরের মুজগুন্নী, লবণচরা, মোল্লাপাড়া, টুটপাড়া, মহিরবাড়ি খালপাড়, শিপইয়ার্ড সড়ক, চানমারী বাজার, রূপসাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।
গাছচাপায় মৃত্যু, ভেসে গেছে ঘের
প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানাধীন কলাবাগান এলাকায় গতকাল সকাল আটটার দিকে নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম নামের এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে। সাইফুলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘরচাপা পড়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। ভোলার ত্রাণ কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা লালমোহন উপজেলায় ঘরচাপায় একজনের নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি।’
এদিকে খুলনার বটিয়াঘাটায় তীব্র বাতাস ও বৃষ্টিতে গাছ উপড়ে ঘরের ওপর পড়ে লালচাঁদ মোড়ল (৩৬) নামের এক যুবক মারা গেছেন। রোববার রাতে উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের গাওঘরা গরিয়ারডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় কয়েক শ পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরিফ জানিয়েছেন, প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ার কারণে কুয়াকাটার বহুতল আবাসিক হোটেলগুলোর অবকাঠামো, খাটসহ তৈজসপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন সাগরপাড়ের ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ারচর ও চরগঙ্গামতি এলাকার বাঁধের বাইরের পাশের বাসিন্দারা। এই দুটি গ্রাম গত রোববার দুপুরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়। এখানকার প্রায় এক হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি পানির তোড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধিরা]