টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন কত দূর

দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু কমছে না। সরকারের সদিচ্ছা এবং পরিবহন মালিকপক্ষের সহযোগিতা না থাকলে পরিস্থিতির কখনো উন্নতি হবে না। সড়ক নিরাপদ করে তুলতে তাই দরকার সঠিক পরিকল্পনা ও আইনের কঠোর প্রয়োগ। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সচেতন করে তুলতে হবে।

পাথরবোঝাই ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়েমুচড়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সটি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চালক আবদুল খালেক। গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বীরপাশা এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে
ছবি: বদর উদ্দিন

দেশে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। গণমাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনার খবর আসছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে চার বছর আগে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে নামার পর আশা করা হয়েছিল, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে। কিন্তু বাস্তবে সেটি ঘটেনি। দুর্ঘটনা রোধে সরকার নানা আশ্বাস দিলেও সড়কে বিশৃঙ্খলা রয়েই গেছে। 

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, চার বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সড়কে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে। গত বছর অন্তত সাড়ে ছয় হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে মোট মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৭৮৩ জনের। ফলে কোনোভাবেই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। 

সড়ক পরিবহনব্যবস্থা চরমভাবে বিশৃঙ্খল হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার কোনো উদ্যোগই আলোর মুখ দেখছে না। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে প্রাতিষ্ঠানিক–অপ্রাতিষ্ঠানিক দুই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। এ জন্য সরকারকেই সামনে থেকে উদ্যোগ নিতে হবে।

বিভিন্ন জরিপ ও গবেষণা থেকে দেখা যায়, গণপরিবহন ৫৩ শতাংশ যাত্রী পরিবহন করে। আর ব্যক্তিগত গাড়ি পরিবহন করে মাত্র ১১ শতাংশ যাত্রী। অথচ ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকশা সড়কের ৭০ শতাংশ জায়গা দখল করে চলে। মোটরসাইকেল চার চাকার যানবাহনের তুলনায় ৩০ গুণ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ইদানীং মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কিশোর-যুবরা ব্যাপক মাত্রায় হতাহত হচ্ছে। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ৫৮ শতাংশের বয়স ১৫ থেকে ৪০ বছর। এই ভয়াবহ চিত্র রোধ করতে হলে মোটরসাইকেল চালনার ক্ষেত্রে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। 

বেপরোয়া গতির কারণে ঝরছে প্রাণ

সারা দেশে সড়ক অবকাঠামো উন্নত ও বিস্তৃত হয়েছে। ফলে যানবাহনের গতি বেড়েছে। যানবাহনের এই বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনার মাত্রা বেড়েছে। যানবাহনের গতি ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটারের ওপরে প্রতি ৫ কিলোমিটার বাড়লে দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।

সড়কে পথচারী নিহতের মাত্রা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, পথচারী নিহতের ক্ষেত্রে ৬২ শতাংশ দায়ী যানবাহনের বেপরোয়া গতি। 

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মহানগর এলাকায় যাত্রী পরিবহনের একটি বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত মোটরযানের ৭১ শতাংশ মোটরসাইকেল। এসব মোটরসাইকেলের একটি বড় অংশ অপ্রাপ্তবয়স্ক ও কিশোর-তরুণেরা ব্যবহার করছে। তারা বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিজেরা দুর্ঘটনায় আক্রান্ত হচ্ছে এবং অন্যদের আক্রান্ত করছে। শুধু রাজধানীতেই চলছে ১৫ লাখের মতো মোটরসাইকেল। মানসম্মত গণপরিবহনের অভাব এবং যানজটের কারণে মোটরসাইকেলের ব্যবহার অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। 

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে, ২০১০ সালে দেশে নিবন্ধিত মোটরসাইকেলের সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে সাত লাখ। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর সড়কে গড়ে এক লাখ করে মোটরসাইকেল নেমেছে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। ২০২১ সালে পাঁচ লাখের বেশি নতুন মোটরসাইকেলের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ৫৫ লাখ। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৪০ লাখের বেশি।

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০১৯ সালে ৯৪৫ জনের, ২০২০ সালে ১ হাজার ৪৬৩ জনের, ২০২১ সালে ২ হাজার ২১৪ জনের এবং ২০২২ সালে ৩ হাজার ৯১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। চলতি ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত গত ১০ মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১ হাজার ৭৫৩ জন নিহত হয়েছে। 

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য মোটরসাইকেলের চালকদের হেলমেট ব্যবহার কঠোর নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে, যাতে হেলমেট ছাড়া কেউ মোটরসাইকেল চালাতে না পারেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। কারণ, মানসম্মত হেলমেট সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮ শতাংশ মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। 

 মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ শীর্ষে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০২১ সালে মোটরসাইকেল বেশি চলাচল করে, বাংলাদেশসহ এমন ১৬টি দেশের ওপর সড়ক নিরাপত্তাসংক্রান্ত একটি গবেষণা করে বুয়েটের সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট (এআরআই)। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবছর দেশে প্রতি ১০ হাজার মোটরসাইকেলের বিপরীতে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন ২৮ দশমিক ৪ জন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর এই হার সারা বিশ্বে সর্বোচ্চ। অবশ্য মাথাপিছু মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীর হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান পেছনের (১৬ দেশের মধ্যে) দিকে।

প্রাতিষ্ঠানিক–অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ যথেষ্ট নয়

দেশে সড়ক দুর্ঘটনারোধে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নিতে হবে। সরকার প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের মাধ্যমে দক্ষচালক তৈরি, চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন, মেয়াদোত্তীর্ণ ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন বন্ধসহ নানা উদ্যোগ নিতে পারে। গণপরিবহন উন্নত, সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য করে সড়কে ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল নিরুৎসাহিত করতে হবে।

অপ্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে সমন্বিত পদ্ধতিতে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে। চালকদের মোটিভেশনাল প্রশিক্ষণ করতে হবে। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জীবনমুখী প্রচার চালাতে হবে।

কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রাতিষ্ঠানিক–অপ্রাতিষ্ঠানিক কোনো উদ্যোগই যথেষ্ট মাত্রায় বাস্তবায়িত হচ্ছে না। ফলে সড়ক ব্যবহারকারী সাধারণ জনগণ যেমন সচেতন হচ্ছেন না, তেমনি সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে না। 

টেকসই পরিবহন কৌশল নেই

দেশে কোনো টেকসই পরিবহন কৌশল নেই। এখানে আইনকানুন, নীতি–নৈতিকতার তেমন গুরুত্ব ও প্রয়োগ নেই। সড়ক পরিবহন খাতে একটি সুবিধাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে। এই গোষ্ঠীই সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধান বাধা। রাজধানী ঢাকায় রুট ফ্রাঞ্চাইজ–পদ্ধতিতে কোম্পানিভিত্তিক গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। তাঁর মৃত্যুর পর এই উদ্যোগ নতুন করে নেওয়া হয়। কিন্তু রাজধানীর পরিবহনমালিকদের আপত্তি ও অসহযোগিতার কারণে সেই উদ্যোগের সঠিক বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে কয়েকটি রুটে ‘নগর পরিবহন’ নামে যে বাসসেবা সীমিত আকারে চালু করা হয়েছে, তাতে রাজধানীর গণপরিবহনব্যবস্থায় তেমন সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। 

একশ্রেণির পরিবহনমালিকদের নানা অজুহাতে সড়ক পরিবহন আইন পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না। কারণ স্পষ্ট, এই খাতে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির বিরাট অর্থনীতি রয়েছে। যেখানে যত বেশি অব্যবস্থাপনা ও নৈরাজ্য থাকে, সেখানে তত বেশি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির সুযোগ থাকে। এ কারণে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে সড়ক পরিবহন খাতে অব্যবস্থাপনা টিকিয়ে রাখে। 

বিআরটিএ পণ্যবাহী মোটরযানের ইকোনমিক লাইফ ২৫ বছর এবং যাত্রীবাহী বাসের ইকোনমিক লাইফ ২০ বছর নির্ধারণ করে মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন নিষিদ্ধ করার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল। কিন্তু মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের চাপে বিআরটিএ এবং সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছে। অথচ পর্যবেক্ষণে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে মেয়াদোত্তীর্ণ মোটরযানের কারণে। অবশ্য এই নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা নতুন কিছু নয়। এমন নয় যে এই পরিস্থিতি হঠাৎ করে হয়েছে। সড়কে দীর্ঘদিনের বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সমস্যাটি রাজনৈতিক। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, সেই দলের লোকজন তখন সড়ক পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে চাঁদাবাজি করে।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, বিআরটিএ, বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সামাজিক ও নাগরিক সংগঠন সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, কর্মশালা ইত্যাদির আয়োজন করছে নিয়মিত। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ও বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ মালিকপক্ষের সঙ্গে মাঝে মধে৵ বৈঠক করছে। এসব বৈঠকে নানা সুপারিশ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। দেশে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটলে তদন্ত কমিটি হয়; কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়িত হয় না। সড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য কমিটি করা হয়, সুপারিশ প্রণয়ন করা হয়; কিন্তু এসব কখনো বাস্তবায়িত হয় না। অর্থাৎ সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি কমিটি গঠন ও সুপারিশমালা তৈরির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। টেকসই কোনো কৌশল ঠিক হচ্ছে না। ফলাফল—প্রতিদিন অসংখ্য দুর্ঘটনা এবং বহুমানুষের প্রাণহানি। 

নিঃস্ব হচ্ছে পরিবার

সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির। প্রায় ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। উপার্জনক্ষম ব্যক্তির মৃত্যুর কারণে আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে জীবনের সঞ্চয় এবং সহায়সম্পদ বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে হয়। এভাবে পরিবারগুলো চিকিৎসার খরচ বহন করতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। চিকিৎসার পরেও যারা পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা আরও করুণ! এভাবেই সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অসংখ্য পরিবার সমাজ ও অর্থনীতির মূল¯স্রোত থেকে হারিয়ে বিপন্ন হয়ে পড়ছে। 

পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির ৭৯ শতাংশের বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। এই কর্মক্ষম বিপুলসংখ্যক জনগোষ্ঠীর মৃত্যুর ফলে দেশে আর্থসামাজিক সংকট তৈরি হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে যেকোনো মূল্যে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। 

দুর্ঘটনা রোধের উপায় কী

সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়নের বিকল্প নেই। তবে এ জন্য সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকতে হবে। তা না হলে নিরাপদ সড়কব্যবস্থা আমাদের কাছে দূরস্বপ্নই থেকে যাবে। দুর্ঘটনারোধে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে—

১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে; ২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে; ৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে; ৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে; 

৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বিশেষ করে নছিমন, করিমন, ভটভটি ইত্যাদি বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব–রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে; ৬. সড়ক-মহাসড়কে যানবাহনের গতিনিয়ন্ত্রণ ও পর্যবেক্ষণে প্রযুক্তির ব্যবহার করতে হবে। ৭. বেপরোয়া গতির চালকদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ৮. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে সড়ক বিভাজক নির্মাণ করতে হবে; ৯. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে; ১০. রেল ও নৌপথ সংস্কার করে সড়কপথের ওপর চাপ কমাতে হবে; ১১. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে; ১২. ‘সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮’ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

সাইদুর রহমান নির্বাহী পরিচালক, রোড সেফটি ফাউন্ডেশন 

ই–মেইল: [email protected]