মাসে দেড় কোটি টাকা ‘চাঁদাবাজি’র ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানা এলাকার ১৯৬ কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে মাসে দেড় কোটি টাকা ‘চাঁদাবাজি’র অভিযোগে থানাটির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত করতে সীতাকুণ্ডে যান। তদন্ত কমিটি–সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তদন্ত–সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কমিটির সদস্যরা ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে ওসির অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির একজন সদস্য আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ওসির চাঁদাবাজি ও পুলিশের সহযোগিতায় একটি কারখানার কাঁচামালবোঝাই ট্রাকে ডাকাতির ঘটনাটি তাঁরা তদন্ত করে দেখছেন।
‘ওসির চাঁদাবাজি”১৯৬ কারখানায় শিরোনামে ৬ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পুলিশের তদন্ত ও প্রথম আলোর অনুসন্ধানে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড থেকে প্রতি মাসে প্রায় দেড় কোটি টাকা চাঁদা তোলা হয়। সেখানকার ১৯৬টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান, চোরাই জ্বালানি তেল ও জাহাজের পুরোনো আসবাব বিক্রির দোকান, ড্রামের কারখানা, পুরোনো লোহা বিক্রেতা, পরিবহনচালক—কেউই বাদ যান না চাঁদাবাজি থেকে।
চাঁদার হার ভিন্ন। কাউকে দিতে হয় দুই হাজার টাকা, আবার কারও কাছ থেকে নেওয়া হয় এক লাখ টাকা।
প্রতিবেদনটি প্রকাশের পরদিন পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পুলিশ সুপার (এসপি) জহিরুল ইসলামকে কমিটির প্রধান করা হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ৭ ডিসেম্বর ওসি তোফায়েলকে সীতাকুণ্ড থানা থেকে সরিয়ে একই জেলার বাঁশখালী থানায় বদলি করা হয়েছে।