ফ্লাইট পরিচালনায় যুক্ত হবে আরও বিদেশি বিমান সংস্থা

যাত্রীসেবার জন্য প্রস্তুত বিমান সংস্থার চেক ইন কাউন্টার। সম্প্রতি হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ হওয়ার আগে থেকেই বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশের আগ্রহ দেখিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন বিমান সংস্থা। ইতিমধ্যে কিছু আবেদনও জমা পড়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের শুরু থেকে বিভিন্ন বিদেশি বিমান সংস্থা ঢাকায় কার্যক্রম শুরু করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, ইথিওপিয়া, সুইস এয়ার, এয়ার কানাডা, এয়ার ফ্রান্সসহ কোরিয়া, মধ্যপ্রাচ্যের বিমান সংস্থাগুলো ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে ফ্লাইট পরিচালনার আগ্রহের কথা জানিয়েছে।

এ বিষয়ে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ইথিওপিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও কোরিয়ার বিমান সংস্থা আগ্রহের কথা জানিয়েছে। বর্তমানে জায়গার স্বল্পতার কারণে নতুন করে সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। তবে তৃতীয় টার্মিনাল প্রস্তুত হলে ক্রমান্বয়ে ফ্লাইট পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হবে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হচ্ছে। যেখানে নতুন টার্মিনালটিতে ৩৭টি উড়োজাহাজ পার্কিংয়ের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পার্কিং অ্যাপ্রন থাকবে। টার্মিনালে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম, অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, ক্যানটিন, ডিউটি ফ্রি শপ থাকবে। বোর্ডিং ব্রিজ থাকবে ২৬টি। তৃতীয় টার্মিনাল থেকে বছরে ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রী সেবা দেওয়ার আশা করছে সরকার।

বেবিচক জানিয়েছে, কোনো উড়োজাহাজ অবতরণের পর দ্রুত রানওয়ে ছেড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে তৃতীয় টার্মিনালে, যাতে অন্য উড়োজাহাজ সহজেই উড্ডয়ন বা অবতরণের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এ জন্য তৃতীয় টার্মিনালে ৪১ হাজার ৫০০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে দুটি এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে রয়েছে।

দৃষ্টিনন্দন এই টার্মিনাল উদ্বোধন করা হবে শনিবার। ২১ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছিল ২০১৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর। কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, টার্মিনালটি চালু হলে বছরে অতিরিক্ত ১ কোটি ২০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে
ছবি: সংগৃহীত

কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, নতুন টার্মিনালে ট্রানজিট যাত্রীদের জন্য একটি বড় লাউঞ্জ বছরে ৪০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেবে। অন্যান্য দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কাস্টমসের জন্য একটি হল ও ছয়টি চ্যানেল থাকবে। ভিআইপি যাত্রীদের সেবা দিতে টার্মিনালটিতে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার এলাকায় বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।

পুরোনো দুটি টার্মিনালের সঙ্গে নতুন টার্মিনালকে সংযুক্ত করার জন্য একটি করিডর নির্মাণ করা হবে।