মানি লন্ডারিং মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত শীর্ষ কর্তা। আবেদনটি আজ সোমবার আদালতে জমা দেওয়া হয়।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল মঙ্গলবার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন।

ড. ইউনূসসহ সাতজনের আইনজীবী আবদুল্লাহ–আল–মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই মামলায় ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। এই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে ড. ইউনূসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্তা মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে আবেদনটি করেছেন। এ মামলায় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ আত্মসাৎ করতে হলে কারও কাছে কারও অর্থ গচ্ছিত রাখতে হবে এবং এই অর্থের খেয়ানত হতে হবে। গ্রামীণ টেলিকমের কাছে কেউ অর্থ জমা রাখেনি; বরং শ্রমিকদের নিট মুনাফার ৫ শতাংশ অর্থ বাবদ ৪৩৭ কোটি টাকা সমঝোতা চুক্তি (শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ও গ্রামীণ টেলিকমের মধ্যে) এবং শ্রম আইনের বিধান অনুযায়ী আলাদা একটি ব্যাংক হিসেবে জমা দেওয়া হয়। তাই এখানে আত্মসাতের প্রশ্ন আসতে পারে না—এসব যুক্তি আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।’

এর আগে ওই মামলায় গত ১২ জুন ড. ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৪–এর বিচারক। সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রয়েছে। অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টে মামলার কার্যধারা বাতিল চেয়ে আবেদনটি করা হলো।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ছাড়া অপর ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

আবেদনের প্রার্থনায় দেখা যায়, ওই মামলার কার্যধারা কেন বাতিল হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার পরবর্তী সব কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে। রাষ্ট্র ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রতিপক্ষ করা হয়েছে।

এর আগে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।