অভিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা আছে

তাসনিম সিদ্দিকী

বাংলাদেশের অভিবাসন খাতে তাসনিম সিদ্দিকীর অবদান অনেক। তাঁর গবেষণা অভিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় অনন্য ভূমিকা রেখেছে। ‘সেলিব্রেটিং দ্য লিগ্যাসি অব একাডেমিক তাসনিম সিদ্দিকী’ শিরোনামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বিশিষ্টজনেরা। তাঁরা বলেন, তাসনিম সিদ্দিকী শিক্ষক ও গবেষক। তাঁর জন্য শিক্ষকতায় অবসর, গবেষণায় নয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে প্রায় ৪০ বছরের শিক্ষকতা করে অবসরে যাচ্ছেন তাসনিম সিদ্দিকী। তাঁর এ বিদায় উদ্‌যাপন করতেই সমাজবিজ্ঞান অনুষদের মিলনায়তনে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ আনন্দ উৎসবের আয়োজন করে ঢাবির বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত তাঁর সহকর্মী ও তাঁর সাবেক শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘ সময় ধরে গবেষণা করছেন তাসনিম সিদ্দিকী। তাঁর প্রতিষ্ঠান অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রামরুর চেয়ার হিসেবে তিনি কাজ অব্যাহত রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন সবাই। রামরুর নির্বাহী পরিচালক সি আর আবরারের ভূমিকার কথাও বলেন বক্তারা।

ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান বলেন, তাসনিম সিদ্দিকীর গবেষণায় তৈরি করা অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত ব্যবস্থাপনা বিষয় জাতীয় কৌশলপত্র সরকার গ্রহণ করেছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। তাসনিম সিদ্দিকী এটা বাস্তবায়নেও কাজ করছেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ইমরান আহমদ বলেন, মন্ত্রী হিসেবে কাজ শুরুর সময় ধারণা থাকলেও অভিবাসন খাতে অভিজ্ঞতা ছিল না। তাসনিম সিদ্দিকীর কাছ থেকে অনেক পরামর্শ পাওয়া গেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল এতে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, তাসনিম সিদ্দিকীর গবেষণা কৌশলপত্র রাষ্ট্র গ্রহণ করেছে। এটা শুধু তাঁর নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য। তাঁর কর্মজীবনের প্রাসঙ্গিকতা এখনো আছে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইমিরেটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, ঢাবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ফখরুল আলম, সিপিডির সন্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য সেলিম রেজা, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন রাশেদা ইরশাদ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এম ওবায়দুল হক। পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে ধন্যবাদ দেন তাসনিম সিদ্দিকীর মেয়ে রাশাম চৌধুরী ও জামাতা অনন্ত নীলিম। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর তাসনিম সিদ্দিকী লিডারশিপ পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তাঁরা।