সারা দেশে হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএফইউজে ও ডিইউজের বিক্ষোভ সমাবেশছবি: সংগৃহীত

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ‘সারা দেশে হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে’ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের প্রতি অনাস্থা জানানো হয়।

সমাবেশে বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী সরকারের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে বলেন, হত্যাকাণ্ড চালিয়ে এ সরকার গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না, যত দ্রুত এ সরকার বিদায় নেবে, ততই জাতি এবং তাদের মঙ্গল হবে।

বর্তমান সরকারের সমালোচনা করে রুহুল আমিন গাজী বলেন, চারজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, ২০০ জনকে আহত করা হয়েছে, ৫০ জন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। শত শত ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের হত্যার জন্য এই সরকারকে দায়ী করেছেন বিএফইউজের সভাপতি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার পতনের মধ্য দিয়ে ছাত্র হত্যার ফয়সালা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, জনগণ এ সরকারের প্রতি গণ-অনাস্থা দিয়েছে। আজ প্রতিটি ঘরে ঘরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। ঢাকা টাইমসের সাংবাদিক হাসান মেহেদীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মেহেদী একজন প্রতিভাবান সাংবাদিক। কেন তাঁকে হত্যা করলেন। তিনি তো কোনো পক্ষের ছিলেন না।

সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এ সরকারে যদি ন্যূনতম দেশপ্রেম বা মানবতাবোধ থাকত, তাহলে ছাত্র হত্যার পরপরই পদত্যাগ করত।

কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, এই সরকারের লোকেরা যাতে পালাতে না পারে, জনগণকে পাহারা দিতে হবে। ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করে পালাতে দেওয়া হবে না। বাংলাদেশের সব রেলপথ, রাজপথ, সড়কপথ, বিমানপথ, নৌপথ বন্ধ করে দিতে হবে।

বিএনপি-সমর্থক ওই দুটি সাংবাদিক সংগঠনের এই সমাবেশে রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ, দ্য নিউ নেশনের সাবেক সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাকের হোসাইন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ ও ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ, ডিআরইউর সাবেক সভাপতি মোরসালিন নোমানী ও রফিকুল ইসলাম আজাদ, বিএফইউজের সহসভাপতি ও ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এ কে এম মহসিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, সরদার ফরিদ আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।

সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল বের করা হয়। মিছিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান দেওয়া হয়। মিছিলটি হাইকোর্ট, তোপখানা রোড, পুরান পল্টন হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।