মাহমুদা হত্যা মামলা: সাবেক এসপি বাবুলের জামিন আবেদন খারিজ
স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে বিফল হয়ে হাইকোর্টে জামিন চেয়ে ২০২২ সালের ৬ মার্চ আবেদন করেন বাবুল আক্তার। শুনানি নিয়ে একই বছরের ১৪ মার্চ আদালত রুল দেন। বাবুল আক্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। রুল শুনানির জন্য জামিন আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে বাবুল আক্তারের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
পরে আইনজীবী শিশির মনির প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় বাবুল আক্তারের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানির জন্য তাঁর করা জামিন আবেদনটি কার্যতালিকায় ওঠে। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম ছয় মাসের মধ্যে শেষ করতে এবং এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি না হলে বিচারিক আদালতকে জামিন দিতে বলার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। এতে রাষ্ট্রপক্ষ আপত্তি জানায়। এরপর আবেদনকারীর পক্ষে আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজের আরজি জানানো হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন (৬ জুন) বাবুল প্রথমে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই ২০২১ সালের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়। একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়।
মাহমুদা হত্যার ঘটনায় ২০২১ সালের ১২ মে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। ওই মামলায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পিবিআই। পরে সব আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে গত ১৩ মার্চ আদেশ দেন চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত।