ত্রাণ ও চিকিৎসাসহায়তা নিয়ে মিয়ানমারের পথে বানৌজা
ত্রাণ, জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী ও অন্যান্য মানবিক সহায়তা নিয়ে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা সমুদ্র অভিযান’। আজ মঙ্গলবার ত্রাণবাহী জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দর ছেড়ে যায়। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইএসপিআর জানিয়েছে, জাহাজটিতে প্রায় ১২০ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী আছে। যাত্রা শুরুর আগে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে নেওয়া কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি জাহাজে থাকা সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনাও দেন তিনি।
ত্রাণবাহী জাহাজটি আগামী শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ত্রাণসামগ্রী হস্তান্তর করা হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক তত্ত্বাধানে এ সহায়তা কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে বলে জানায় আইএসপিআর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী, সেনাকল্যাণ সংস্থা এবং রেড ক্রিসেন্টের সহযোগিতায় পাওয়া ত্রাণসামগ্রী এই জাহাজে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭৭ মেট্রিক টন শুকনা খাবার, ৯ টনের বেশি তাঁবু ও ব্যবহারযোগ্য পোশাক, ২৯ মেট্রিক টন বিশুদ্ধ খাওয়ার পানি, ৪ মেট্রিক টন ‘হাইজিন কিট’ এবং প্রায় ১ টন প্রয়োজনীয় ওষুধসামগ্রী।
গত ২৮ মার্চ মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পে মিয়ানমারে ৩ হাজার ৬৪৫ ও থাইল্যান্ডে ২১ জন প্রাণ হারান।
ভূমিকম্পের পর এর আগে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে দুই ধাপে মিয়ানমারে ৩১ দশমিক ৫ মেট্রিক টন ত্রাণসামগ্রী এবং উদ্ধারকর্মী ও চিকিৎসা দল পাঠানো হয়। আইএসপিআর বলছে, মিয়ানমারের দুর্যোগকালে বাংলাদেশের এই সহানুভূতিশীল পদক্ষেপ দুই দেশের পারস্পরিক আস্থা ও বিশ্বাস আরও বাড়াবে এবং দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।