চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। পরিস্থিতি এবার এতটা নাজুক হয়ে উঠল কীভাবে?
শফিউল আলম: এবারের ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মূলত গত বছরের সংক্রমণের ধারাবাহিকতা। গত বছর সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছিল অক্টোবর ও নভেম্বরে। সাধারণত এটি হয়ে থাকে জুলাই-আগস্টে। সাধারণত, শীত মৌসুমে তাপমাত্রা কমার ফলে এডিস মশার ঘনত্ব হ্রাস পায়। এরপর বৃষ্টিপাতে সঙ্গে সঙ্গে মশার ঘনত্ব বাড়তে শুরু করে। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরেও আক্রান্তের সংখ্যা অনেক ছিল। এই পুরো সময়ে ডেঙ্গুর সংক্রমণ ছিল। ফলে প্রচুর এডিস মশা ডেঙ্গু রোগীর সংস্পর্শে এসেছে, সংক্রমিত হয়েছে ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নাজুক করেছে।
এডিস মশা কি আচরণ পাল্টেছে? প্রচলিত ধারণা হলো, এডিস রাতে নয়, দিনে কামড়ায়। আবার এটি পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে, নর্দমার বা ডোবার পানিতে নয়। এখন বলা হচ্ছে এডিস রাতেও কামড়ায়। এটি অপেক্ষাকৃত নোংরা পানিতেও বংশবিস্তার করে। আপনারা গবেষণায় কী দেখছেন?
শফিউল আলম: এডিস মশা খুবই অভিযোজনশীল। মনে রাখতে হবে, এখন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের মৌসুম চলছে। এমন ক্ষেত্রে অস্তিত্ব রক্ষায় এডিস অনেক আচরণগত পরিবর্তন আনতে পারে। ফলে এডিস এমন সময়ে আচরণ পরিবর্তন করে অপেক্ষাকৃত নোংরা পানিতে বংশবিস্তার করলে কিংবা রাতে কামড়ালে অবাক হওয়ার কিছু নেই। অবশ্য এটি নিয়ে আমাদের বিস্তারিত গবেষণা নেই।
ডেঙ্গুর চারটি ধরন আছে। ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ এবং ডেন-৪। চলতি বছর ডেন-২-এ আক্রান্তের সংখ্যা বেশি বলা হচ্ছে। আপনারা কী দেখছেন? এবার মৃত্যু বেশি কোন কারণে?
শফিউল আলম: কয়েক বছর ধরে দেশে ডেন-২ ও ডেন-৩-এর প্রাদুর্ভাব বেশি। আমরা এটা এখনো পর্যবেক্ষণ করিনি। তবে আমাদের পরিকল্পনা আছে। স্বাভাবিকভাবে কোনো ব্যক্তি দ্বিতীয়বার ডেঙ্গুর অন্য কোনো ধরনে আক্রান্ত হলে এবং অন্যান্য গুরুতর শারীরিক জটিলতা বা রোগ প্রতিরোধক্ষমতার ঘাটতি থাকলে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
এডিস মশা মোট মশার কত শতাংশ? আর এডিস কামড়ালে কি ডেঙ্গু অবধারিত?
শফিউল আলম: পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রজাতির মশা রয়েছে, যার ২৫ ভাগ হচ্ছে এডিস। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত আমরা ১২৬ প্রজাতির মশা পেয়েছি। এর মধ্যে ২৬ প্রজাতির এডিস মশা রয়েছে। তবে এর দুটি প্রজাতি—এডিস ইজিপ্টি ও এডিস অ্যালবোপিকটাস ডেঙ্গু ভাইরাস বহন ও মানুষকে সংক্রমিত করে। এডিস মশার ঘনত্ব নির্ভর করে কিছু অনুকূল পরিবেশের ওপর, যেমন বৃষ্টিপাত। বছরের সব সময় এই মশার ঘনত্ব এক রকম থাকে না। গত তিন মাসে ঢাকায় বিজি ফাঁদ ব্যবহার করে আমাদের ছোট আকারের জরিপে সপ্তাহ ভেদে ২ থেকে ১০ শতাংশ এডিস মশা দেখেছি।
এডিস কামড়ালেই ডেঙ্গু অবধারিত নয়। আমাদের নিজস্ব গবেষণাগারে ৮০ ভাগ পর্যন্ত এডিস ইজিপ্টি মশার লালাগ্রন্থিতে ডেঙ্গুর জীবাণু পাওয়া গেছে। তবে সাধারণত প্রাকৃতিক পরিবেশে এই হার অনেক কম থাকে। যেমন ভারতে এই সংক্রমণের হার পাওয়া গিয়েছিল প্রায় ১৮, সিঙ্গাপুরে ৭ আবার ইন্দোনেশিয়ায় ১ শতাংশের কম। এডিস মশা একাধিক ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ করতে পারে। কাজেই একটি সংক্রমিত মশা একাধিক ব্যক্তিকে আক্রান্ত করার আশঙ্কা থেকে যায়।
মশা কীটনাশক বা লার্ভানাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠছে কি না। একই ধরনের লার্ভানাশক দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণেই কি
এমনটি ঘটছে?
শফিউল আলম: এডিস মশা লার্ভানাশক প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, এমন কোনো প্রমাণ আমরা এখনো পাইনি। আমাদের দেশে মূলত কিউলেক্স মশা অর্থাৎ নালা-নর্দমা, ঝোপঝাড় বা ঘরের বাইরের মশাকে টার্গেট করে লার্ভানাশক ব্যবহার করা হয়। এডিস মশার সাধারণ প্রজনন স্থান যেমন আমাদের বাসাবাড়ির যেসব স্থানে পানি জমে থাকে, ছাদ-বাগান—সেসব থেকে আলাদা। তাই এডিসের ক্ষেত্রে এই লার্ভনাশক কার্যকর হলেও খুব বেশি ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে গবেষণায় দেখেছি, পূর্ণবয়স্ক এডিস মশা পাইরিথ্রয়েড জাতীয় কীটনাশক প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। এ কারণে ২০১৯ সালে ঢাকায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ঘটে। আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী, তখন ম্যালাথিয়ন জাতীয় কীটনাশক প্রয়োগ শুরু করে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আসে।
সাম্প্রতিক গবেষণায় আমরা দেখেছি, বাজারে মশার যেসব কীটনাশক স্প্রে বোতল আকারে পাওয়া যায়, তার অনেকগুলোর বিরুদ্ধে এডিস প্রতিরোধী হয়ে উঠেছে। কোনো একটি কীটনাশক ফরমুলেশন দীর্ঘদিন ব্যবহার করা উচিত নয়।
এডিস নির্মূলে কী কী কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে?
শফিউল আলম: এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত পন্থা অবলম্বন করা উচিত। কারণ, একক পন্থা কখনোই এটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। এডিস মশার প্রজনন স্থানগুলোকে ধ্বংস বা সংশোধন করতে হবে, লার্ভিসাইডিং এবং ফগিংকে শক্তিশালী করতে হবে এবং জনগণকে ডেঙ্গু মোকাবিলা কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ইনডোর রেসিডুয়াল স্প্রে, ব্যাসিলাস থুরিংয়েনসিস ইসরাইলেন্সিস (বিটিআই—একধরনের ব্যাকটেরিয়া) এবং কীটপতঙ্গের বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণের নতুন পদ্ধতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। শহরগুলোতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা লার্ভানাশক স্প্রে ও পূর্ণবয়স্ক মশা দমনে কীটনাশক ফগিং করি। আমরা জেনেছি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন বিটিআই এনেছে, এটি ভালো উদ্যোগ। যেহেতু ডেঙ্গু দেশব্যাপী ছড়িয়ে গেছে, তাই নিয়মিত মশা নিয়ন্ত্রণে ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট (আইভিএম) পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা উচিত।
ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে নানা আলোচনা আছে। ইতিমধ্যে দেশে ডেঙ্গুর টিকার ট্রায়াল হয়েছে বা হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। সেই টিকা সম্পর্কে কিছু বলুন।
শফিউল আলম: এখন পর্যন্ত মাত্র দুটি ডেঙ্গু টিকা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। যাদের আগে ডেঙ্গু হয়েছিল এবং বয়স ৯ থেকে ১৬ বছর—শুধু তাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদিত টিকা হলো ডেনভ্যাক্সিয়া। এই টিকার তিনটি ডোজ দিতে হয় ৬ মাস অন্তর অন্তর। অন্য টিকার নাম হচ্ছে কিউডেঙ্গা। এই টিকা তিন মাস ব্যবধানে দুটি ডোজে দেওয়া হয়। যারা আগে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি, তাদেরও দেওয়া যায়। তবে দুটি টিকারই কিছু সীমাবদ্ধতা আছে।
আমরা একটি লাইভ অ্যাটেনুয়েটেড টেট্রাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন (টিভি-০০৫) নিয়ে গবেষণা করছি। এই টিকা তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ)। এটি ডেঙ্গুর চারটি ধরনের বিরুদ্ধেই সুরক্ষা দেয়। সব বয়সী মানুষ এ টিকা নিতে পারবে। আমরা এই টিকার দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করেছি। এর ফলাফল প্রকাশের প্রক্রিয়া চলছে। এই টিকার আরেকটি ফরমুলেশন রয়েছে, এর কোড নেম হচ্ছে টিভি-০০৩, এটি ৬ মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজে দেওয়া হয়। টিভি-০০৩-এর তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল ব্রাজিলে শেষ হয়েছে। শিগগিরই ভারতেও তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হবে। আমরা দেশে এই টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরুর চেষ্টা করছি। এই টিকা বাজারে আসতে কয়েক বছর লাগবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে এডিসের বংশ বিস্তার বা ডেঙ্গু আক্রান্তের কোনো সম্পর্ক আছে?
শফিউল আলম: হ্যাঁ, সম্পর্ক আছে। ২০১১-১৩ সালের দিকে আমাদের গবেষণায় দেখেছি, বাতাসের আর্দ্রতার সঙ্গে এডিস মশার সংখ্যা বৃদ্ধির সম্পর্ক রয়েছে। আমরা গত বছর দেখেছি, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বেশ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেশ ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ছিল। এর ধারাবাহিকতা এখনো বজায় রয়েছে। বর্ধিত বৃষ্টিপাতে এডিসের প্রজনন স্থান বেড়ে যায়। অন্যান্য গবেষণায় দেখা গেছে, উচ্চ তাপমাত্রায় প্রাপ্তবয়স্ক মশা বেশি কামড়ায়। উষ্ণ তাপমাত্রা মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের সংখ্যা বৃদ্ধি (রেপ্লিকেশন) করে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার সঙ্গে আমাদের ডেঙ্গুর ইতিহাসের নৈকট্য আছে। সেখানে ডেঙ্গু অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। ভৌগোলিক দিক দিয়ে কাছাকাছি দুই অঞ্চলের ভিন্ন এই অভিজ্ঞতা গবেষক হিসেবে আপনার বা আপনাদের ভাবনার মধ্যে আছে কি না।
শফিউল আলম: আমি মনে করি, মূল পার্থক্য হলো মশা নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের অভিজ্ঞতা এবং জনসচেতনতার অবস্থা। ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কলকাতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। কলকাতায় ডেঙ্গু প্রথম ১৮২৪ সালে নথিভুক্ত হয়েছিল। পরে ১৮৩৬, ১৯০৬, ১৯১১ ও ১৯৭২ সালে বেশ কয়েকটি মহামারি হয়েছিল। কলকাতায় সর্বশেষ বড় আকারে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হয়েছিল ২০০৫ সালে। যেখানে আমরা প্রথম ২০০০ সালে এবং পরে ২০১৯ সালে বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব দেখেছি। তবে ঢাকায় ১৯৬৪ সালে ডেঙ্গুর প্রথম নথিভুক্ত ঘটনা ঘটে।
ডেঙ্গু আমাদের মতো গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশে একটি বাস্তবতা হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতেও এটি বাড়তে পারে বলে অনেকে মনে করছেন। তাহলে একে সহনশীল পর্যায়ে আনতে আমরা কী করতে পারি?
শফিউল আলম: আমাদের সমন্বিত কৌশলগত কার্যক্রম নিতে হবে। একে তিন ভাগে করা যেতে পারে। স্বল্প মেয়াদে সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে এডিস মশার সম্ভাব্য সব প্রজনন স্থান ধ্বংস করতে হবে ও স্বাভাবিক মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদার করতে হবে। কার্যকর কীটনাশক ঠিক করতে নিয়মিত কীটনাশক প্রতিরোধের পরীক্ষা করা ও তা ব্যবহারে দ্রুত প্রয়োজনীয় অনুমোদনের ব্যবস্থা নেওয়া। সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য যেসব বোতলজাত স্প্রে কীটনাশক পাওয়া যায়, সেগুলোর কার্যকারিতা পরীক্ষা করে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। কেননা এডিস ইজিপ্টির ফ্লাইট রেঞ্জ খুব ছোট, মাত্র ১০০-২০০ মিটার। তারা সচরাচর ঘরে কামড়ায় ও বিশ্রাম নেয়।
মধ্য মেয়াদে বিকল্প লার্ভানাশক হিসেবে ইনসেক্ট গ্রোথ রেগুলেটর (আইজিআর) যেমন পাইরিপ্রক্সিফেন ও মেথোপ্রিন এবং মাইক্রোবিয়াল কীটনাশক যেমন বিটিআই ব্যবহারের বিষয়টি বিবেচনা করা উচিত। মশার বিস্তার নিরূপণে বছরব্যাপী জরিপ করতে হবে।
দীর্ঘ মেয়াদে অরাসায়নিক এডিস নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, যা প্রাথমিক পর্যায়ে হয়তো কিছুটা ব্যয়বহুল (৫০-১০০ কোটি টাকার)—যেমন উলবাকিয়া সংক্রমিত মশা বা জীবাণুমুক্ত কীটপতঙ্গ কৌশল (স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক বা এসআইটি) বিবেচনা করা যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ব্রাজিলসহ অনেক ডেঙ্গুপ্রবণ দেশ এসব পদ্ধতি প্রয়োগ করে সফল হয়েছে। তবে এ ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগের আগে সম্ভাব্যতা ও সম্ভাব্য প্রভাব মূল্যায়নে ট্রায়ালের প্রয়োজন আছে। অস্ট্রেলিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমরা উলবাকিয়া নিয়ে কিছু গবেষণা করছি। গবেষণাগারে বাংলাদেশি এডিস মশার মধ্যে উলবাকিয়া প্রবেশ করিয়ে আশানুরূপ ফল পেয়েছি।
পাশাপাশি ডেঙ্গু টিকার উন্নয়নে অর্থায়ন করতে হবে। যাতে পরে প্রোডাকশন লাইসেন্সের ক্ষেত্রে সুলভে টিকা পাওয়ার সুযোগ নেওয়া যায়।
২০১৯ সালের ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের পর মশক নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণার জন্য একটি স্বতন্ত্র অধিদপ্তর গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। নিঃসন্দেহে উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে এমন কার্যকর প্রতিষ্ঠান করা জরুরি।