বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় চারজন গ্রেপ্তার

বান্দরবানে সন্ত্রাস দমনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে শুরু হওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে রুমা ও থানচির উদ্দ্যেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সাঁজোয়া যান। আজ সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে তোলামংহাইসিং মারমা

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের পর শুরু হওয়া সমন্বিত অভিযানে গতকাল রোববার এক নারীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে থানচি থেকে ও অপর তিনজনকে বান্দরবান সদরের রেইসা চেকপোস্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় অভিযান জোরদার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। অভিযানে গতকাল বান্দরবান সদরের রেইসা চেকপোস্ট এলাকায় রুমার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন গ্রেপ্তার হন। তাঁরা হলেন রোয়াংছড়ির রৌনিনপাড়ার জিংচুন নুং বমের ছেলে ভাননুন নুয়াম বম, থানচির সিমত্লাংপিপাড়ার লালমুন চম বমের মেয়ে জেমিনিউ বম ও ছেলে আমে লমচেউ বম।

এ ছাড়া একই দিন থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্ত্রাসীদের গাড়িতে পরিবহনের দায়ে কফিল উদ্দিন নামের এক গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানচি সদরের টিঅ্যান্ডটিপাড়া থেকে গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার কফিল উদ্দিন ৩ এপ্রিল ব্যাংক ডাকাতি করতে আসা কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের তাঁর গাড়িতে পরিবহন করেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসীম উদ্দিন বলেছেন, কেএনএফের সদস্যরা ব্যাংক ডাকাতি করতে আসার জন্য দুটি গাড়ি ব্যবহার করেছেন। ওই দুই গাড়ির একটি জব্দ ও চালক কফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাংক ডাকাতি ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনই জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে ডাকাতি, ব্যাংক ব্যবস্থাপক অপহরণ, টাকা লুট ও পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ব্যাংক ব্যবস্থাপক উদ্ধার হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও টাকা উদ্ধার করা যায়নি। নতুন সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ এ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে। সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার, অস্ত্র ও টাকা উদ্ধারের অভিযানে অংশ নিচ্ছেন সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। অভিযান সমন্বয় করছে সেনাবাহিনী।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন