কুষ্টিয়ায় অবস্থিত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের শিকার ছাত্রী সাহস করে অভিযোগ করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে সাধারণ মানুষ সাহস করে না, তাদের বিরুদ্ধে তিনি সাহস করে অভিযোগটি আনলেন। যারা রাজনৈতিক দলের ছত্রচ্ছায়ায় এবং আশ্রয়-প্রশ্রয়ে সন্ত্রাস করে, তাদের বিরুদ্ধে ছাত্রীটি অভিযোগ করতে পেরেছেন, এ জন্য তাঁকে অভিবাদন জানাই।
অভিযোগটি সামনে আনার কারণেই প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে, আদালতও ব্যবস্থা নিয়েছেন। মেয়েটির সাহসের কারণে এ পর্যন্ত একটি পদক্ষেপ হলো। কিন্তু এরপর কী হবে? সেখানেই চিন্তা করার বিষয়, সেটাই প্রশ্ন। কারণ, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার সংস্কৃতি আমাদের কাঁধে জেঁকে বসেছে।
সেটা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে কি? কারণ দেখা যায়, এ ধরনের ঘটনার পর কিছুদিন নড়াচড়া হয়, তোলপাড় হয়। কিন্তু আবারও সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে গেলে উপায় একটাই, সেটা হলো সব ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা।
আমরা স্বীকার করি বা না করি, দেশে নারী নির্যাতন হচ্ছে নানাভাবে, নানা প্রকারে ও আকারে। কোথাও এর তীব্রতা পেয়ে হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। কোথাও আবার শ্লীলতাহানি বা নানা মাত্রায় নির্যাতন হচ্ছে।
কিন্তু নারী নির্যাতন হচ্ছে—এটাই সত্য। সরকার, প্রশাসন, নীতিনির্ধারক, নাগরিক সমাজ—সবাই বিষয়টি জানেন। নাগরিক সমাজ এ বিষয়ে বারবার সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। গণমাধ্যমও এ বিষয়ে সোচ্চার। এ জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ দিই।
অপরাধী যেই হোক, সে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পায়, তাহলে এ ধরনের ঘটনা কমবে; যেমনটা হয়েছে, অ্যাসিড–সন্ত্রাসের ক্ষেত্রে। আমি বলব বাংলাদেশ সব ক্ষেত্রে এগোচ্ছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাতেও উদাহরণ তৈরি করবে—এটাই প্রত্যাশা।
রাশেদা কে চৌধূরী, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা