মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি ২৭ ফেব্রুয়ারি
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলায় অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী জাহিদুল ইসলাম।
জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এই মামলায় অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য সময় চেয়ে মির্জা আব্বাসের আইনজীবীরা আজ আদালতে আবেদন করেন। আদালত যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন।
আদালত সূত্র জানায়, মামলায় রায় ঘোষণার জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু সেদিন আদালত রায় দেননি। রায় না দিয়ে মামলায় অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির আদেশে আদালত বলেন, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ২৪ জন সাক্ষীকে হাজির করেছে। আসামিপক্ষ থেকে পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। উভয় পক্ষ আসামির সম্পদ বিবরণী, আয়করসহ অন্যান্য বিষয়ে অনেক নথিপত্র দাখিল করেছে। মামলায় ঘটনাগত, তথ্যগত বিষয়সহ জটিল আইনগত বিষয় জড়িত। এ বিষয়ে অধিক যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়া দরকার বলে মনে করেন আদালত। এ জন্য মামলাটি রায়ের তালিকা থেকে অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
এর আগে এই মামলায় গত ২২ নভেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। তখন রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেছিলেন আদালত। কিন্তু ৩০ নভেম্বর আদালত রায় ঘোষণা করেননি। রায় ঘোষণার জন্য ১২ ডিসেম্বর নতুন তারিখ ঠিক করেছিলেন আদালত। ১২ ডিসেম্বরও রায় ঘোষণা করা হয়নি। পরে রায় ঘোষণার জন্য ২৮ ডিসেম্বর তারিখ ধার্য করা হয়েছিল।
২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে করা এই মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সংগতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৪ মে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
মির্জা আব্বাস বর্তমানে কারাগারে আছেন। গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে দলটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় করা মামলায় গত ৩১ অক্টোবর রাতে মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।