আতশবাজি ও ফানুসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নে রুল

হাইকোর্ট ভবনফাইল ছবি

আতশবাজি ও ফানুসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ রুল দেন।

প্রাণী অধিকারবিষয়ক সংগঠন পিপল ফর অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এবং পরিবেশবাদী সংগঠন ডিপ ইকোলজি অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ১১ জানুয়ারি রিটটি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম, সঙ্গে ছিলেন শিক্ষানবিশ আইনজীবী শেখ রোবাইয়াৎ ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

স্বরাষ্ট্রসচিব, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম।

আইনজীবী শেখ রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আইনি বিধিনিষেধ সত্ত্বেও বিশেষ দিনে আতশবাজি ও ফানুসের ব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর রাতে আতশবাজির জন্য শব্দদূষণ ও বায়ুমান বেশি ছিল, যা মানুষের সহ্য ক্ষমতার তুলনায় ৯ গুণ বেশি ; সেদিন রাতে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর কারণে শত শত পাখি মারা যায় এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও ঘটে—এক জরিপে এসেছে। পরিবেশ ও প্রাণীর সুরক্ষায় আতশবাজি ও ফানুসের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন। জন অধিকার ফাউন্ডেশনসহ আরও তিনটি সংগঠন রিট দায়েরের ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে।