বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতসহ অন্য অংশীদারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলছবি: ইউটিউব ভিডিও থেকে নেওয়া

ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দেশের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ইস্যু উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে। এ সময় দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারত ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে তাঁর দেশ।

আমরা বাংলাদেশে সহিংসতার অবসান, সেই সঙ্গে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে চাপ অব্যাহত রাখতে চাই।
বেদান্ত প্যাটেল, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপপ্রধান মুখপাত্র

গতকাল বুধবারের নিয়মিত ওই ব্রিফিংয়ে উপপ্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আলোচনা করতে আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদার ও ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। এ ইস্যুতে এখন আমি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে আমরা বাংলাদেশে সহিংসতার অবসান, সেই সঙ্গে জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনে চাপ অব্যাহত রাখতে চাই।’

ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, অন্তর্বর্তী সরকার, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্ত থাকার ও সাম্প্রতিক সহিংসতার অবসান ঘটানোর আহ্বানকে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানায়। পাশাপাশি দেশে নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে সুরক্ষায় নতুন সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিও স্বাগত জানায় তারা।

ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক বলেন, সপ্তাহান্তে ভারতীয় বংশোদ্ভূত দুজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে পাঠানো পৃথক চিঠিতে বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের জানমাল রক্ষায় হস্তক্ষেপ ও সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সেই চিঠি পেয়েছেন কি না, এ ইস্যুতে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না, জানতে চান ওই সাংবাদিক।

আরও পড়ুন

জবাবে উপপ্রধান মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা কংগ্রেসের (যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট) সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে যোগাযোগ রাখছি। আমি নির্দিষ্ট কোনো চিঠি বা যোগাযোগ প্রসঙ্গে বলছি না। তবে এটুকুই বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকার, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের শান্ত থাকার ও সাম্প্রতিক সহিংসতার অবসান ঘটানোর আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই। পাশাপাশি দেশে নিরাপত্তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকজনকে সুরক্ষায় নতুন সরকারের গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টিকেও স্বাগত জানাই আমরা।’

আরও পড়ুন