ফার্মগেটে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পথেও শিক্ষার্থীদের অবরোধ

রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের এক্সপ্রেসওয়ের মুখে অবস্থান। আজ ১০ জুলাইছবি: প্রথম আলো

সরকারি চাকরির নিয়োগে ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিল ও নূন্যতম মাত্রায় কোটার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার মুখে অবরোধ করেছে।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার পথে ব্যারিকডে দিয়ে অবস্থান নেয়। এতে এক্সপ্রেসওয়ে ধরে আসা যানবাহনগুলো থমকে আছে। পেছনে গাড়ির লম্বা সারি দেখা দিয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ভাগনিকে দেখার জন্য টঙ্গী থেকে এসেছে দুই বোন সুলতানা ও রোখসানা। কিন্তু তাঁদের বহনকারী বাস এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামতে পারেনি। তার আগেই সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। দুই বোন হেঁটে মেডিকেলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ৭০ বছর বয়সী হাফিজুর রহমান উত্তরা থেকে ধানমন্ডির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। তিনিও এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নেমে হেঁটে রিকশা নেন। চালকসহ গাড়ি এক্সপ্রেসওয়ের ওপর আটকে আছে।

অবশ্য শিক্ষার্থীরা হাসপাতালগামী যাত্রীদের কাগজপত্র দেখে ছেড়ে দিচ্ছে। নিজেদের দাবির কথা জানিয়ে এ সময় তাঁরা নানা স্লোগানও দিচ্ছিলো।

গত ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে টানা আন্দোলনে আছেন শিক্ষার্থীরা। শুরু থেকে চার দফা দাবি জানিয়ে এলেও ৭ জুলাই থেকে তাঁরা ‘অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক’ কোটা বাতিলের এক দফা দাবির কথা বলছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে গতকাল মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে রিট করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। কিন্তু আন্দোলনকারীরা গতকাল সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এ রিটের সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। পরিপত্র বা লিখিত নথিতে তাঁদের যদি এ বিষয়ে নিশ্চিত করা হয় যে একটি কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা হবে, তবে তৎক্ষণাৎ তাঁরা রাজপথ ছেড়ে যাবেন।