কলকাতায় বাংলাদেশ উপহাইকমিশনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে

কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দপ্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছেছবি: ভাস্কর মুখার্জি

বাংলাদেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কলকাতার বাংলাদেশ উপহাইকমিশনের দপ্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তা দেখভালের জন্য কলকাতা পুলিশের একজন সহকারী পুলিশ কমিশনারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতার পার্ক সার্কাসের বেকবাগান মোড়ে অবস্থিত উপহাইকমিশনের দপ্তরের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে পুলিশের গার্ডরেল।

কলকাতা উপহাইকমিশন আপাতত শুধু ভিসা দেওয়া চালু রেখেছে। উপহাইকমিশনের এক কর্মকর্তা গতকাল মঙ্গলবার প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্যদিকে ভিসার আবেদন গ্রহণ ও ভিসা দেওয়ার উভয় কাজ চালু রেখেছে কলকাতার সল্টলেকের সেক্টর ফাইভের নতুন ভিসা দপ্তর।

এদিকে কলকাতা থেকে ঢাকা-খুলনার ট্রেন ও বাস যোগাযোগ সোমবার বিকেল থেকে বন্ধ রয়েছে। অন্যদিকে কলকাতায় আটকে পড়েছে শত শত বাংলাদেশি পর্যটক। তাঁদের অধিকাংশ কলকাতায় চিকিৎসা নিতে ও  ঘুরতে এসেছেন। সোমবার ভারতের বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া ঢাকার সঙ্গে কলকাতার বিমান পরিষেবাও বন্ধ করে দিয়েছে।

অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল-বেনাপোল, বসিরহাটের ঘোজাডাঙ্গা, মালদহের মহদিপুর, শিলিগুড়ির ফুলবাড়ী  সীমান্তে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী ট্রাক। তবে নানা সমস্যার মধ্যে কিছু কিছু ট্রাক চলাচল করছে।

শ্যামলী যাত্রী পরিবহন সংস্থার সৌহার্দ্য বাস পরিবহনের কর্ণধার অবনি ঘোষ প্রথম আলোকে জানান, ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার পর ঢাকা-কলকাতার বাসে ভিড় বাড়ছিল। কারণ কলকাতায় চিকিৎসা নিতে আসা অনেক বাংলাদেশি আটকে পড়েছে। অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। এসব পরিস্থিতিতে চরম বিপদে পড়েছে কলকাতায় আসা বাংলাদেশের পর্যটকেরা। অর্থ ফুরিয়ে যাওয়ায় অনেকে আরও বেশি বিপদে পড়েছেন।

কলকাতার হোটেল সম্রাটের ম্যানেজার প্রেম ঘোষ বলেন, ‘দেশে কবে ফিরতে পারবে তা নিয়ে বাংলাদেশি পর্যটকদের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। অনেকেই এখন কলকাতার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে আটকে রয়েছেন।’

কলকাতার এক মানি চেঞ্জার বলেন, ‘বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কদিন তেমন একটা পর্যটক আসছে না। ফলে এক ধরনের ফাঁকাই থাকছে কলকাতা মানি এক্সচেঞ্জগুলো। পরিস্থিতি কবে ঠিক হবে তাই নিয়ে তাঁরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছেন।’

সোমবার শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শোনার পর কলকাতা শহরের সদর স্ট্রিট, মার্কুইস স্ট্রিটের হোটেল পাড়ার বিভিন্ন  হোটেলে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। তাঁদের কাউকে কাউকে মিষ্টি বিতরণ করতেও দেখা যায়।