হামলাকারীদের আগুনে বিআরটিএর সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত, সব সেবা বন্ধ

বিআরটিএ

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল বলেছেন, দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে বিআরটিএর প্রধান কার্যালয়ের পুরো ভবনটাই এখন পরিত্যক্ত ও ব্যবহার অনুপযোগী। এখানে সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গাড়ির ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশনসহ বিআরটিএর দৈনন্দিন সেবাগুলো দেওয়া যাচ্ছে না। এটি কবে চালু হবে, সেটাও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

আজ বুধবার রাজধানীর বনানী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিএ ভবনের পাশে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সংস্থাটির চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল।

চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ভবনের এক থেকে পাঁচতলা পর্যন্ত আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে হামলাকারী ব্যক্তিরা। হামলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পুরো ভবনের বিদ্যুৎ, সার্ভার ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা।

ভাঙচুরের বিবরণ দিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিরা প্রথমে ভবনের প্রধান ফটক ভাঙচুরের পর অগ্নিসংযোগ করে। তারা নিচতলার ‘হেল্প ডেস্ক’, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও সিসিটিভি ক্যামেরার সার্ভার সিস্টেমে অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বেজমেন্টে থাকা সাতটি গাড়ি ও পাঁচটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, কার্যালয়ের অনেক মূল্যবান জিনিসপত্র, বিশেষ করে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন ও আসবাব লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারী ব্যক্তিরা। এ ছাড়া ভবনের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র, পানি সরবরাহব্যবস্থা ও অগ্নিনির্বাপণব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুরো ভবনটাই এখন পরিত্যক্ত ও ব্যবহার অনুপযোগী।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের জন্য কমিটি করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা সবকিছু বিশ্লেষণ করছেন। ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণের পর বোঝা যাবে মেরামতের জন্য কোন পদ্ধতিতে তাঁরা অগ্রসর হবেন। মেরামতের পর সার্ভার যদি সচল হয়, তাহলে বোঝা যাবে যে সেবা চালু করতে কত দিন লাগবে।

এ হামলার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে বনানী থানায় দুটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান গৌতম চন্দ্র পাল।