আবার রিমান্ডে ইনু, কারাগারে শাজাহান খান
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে আবার রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। রাজধানীর লালবাগ থানায় করা একটি হত্যা মামলায় এবার তাঁকে চার দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একটি হত্যা মামলায় তিনি রিমান্ডে ছিলেন।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেরা মাহবুব আজ রোববার হাসানুল হক ইনুর রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন। আজ তাঁকে লালবাগ থানায় আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় রিমান্ডে দেওয়া হয়। এর আগেও তিনি দুই মামলায় দুই দফায় রিমান্ডে ছিলেন।
খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলায় হাসানুল হক ইনুর ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। অপর দিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত ইনুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ২৬ আগস্ট রাজধানীর উত্তরা থেকে ইনুকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ। পরদিন নিউমার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সাত দিনের রিমান্ড দেন আদালত। পরে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ট্রাকচালক সুজন হত্যা মামলায় তাঁকে আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড দেন আদালত।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জাসদ। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে কুষ্টিয়ার একটি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হাসানুল হক ইনু। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।
কারাগারে শাজাহান খান
ঢাকার সিএমএম আদালত আজ বিকেলে শাজাহান খানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় করা কিশোর আবদুল মোতালিব (১৪) হত্যা মামলায় তিনি সাত দিনের রিমান্ডে ছিলেন। ৫ সেপ্টেম্বর রাতে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রিমান্ডে থাকা অবস্থায় শাজাহান খান অসুস্থ বোধ করেন। পরে তাঁকে আজ আদালতে হাজির করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট গুলিতে নিহত হয় কিশোর আবদুল মোতালিব। এ ঘটনায় তার বাবা আবদুল মতিন বাদী হয়ে ২৬ আগস্ট ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। সে মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শাজাহান খানসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়। পরে শাজাহান খানকে গত বৃহস্পতিবার রাতে ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন শাজাহান খান। তিনি এই আসন থেকে প্রথম ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। একই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।