রাজধানীজুড়ে বিক্ষোভ, গুলি, সংঘাত

এক দফা দাবিতে সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচিতে ছাত্র–জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া। গতকাল দুপুরে রাজধানীর উত্তরার আজমপুরেছবি: খালেদ সরকার

শঙ্কা, ভয়, উদ্বেগ নিয়েই শুরু হয় রাজধানী ঢাকার রোববার সকাল। তবুও অফিসগামীদের অনেকে বের হন বাসার বাইরে। সড়কে কিছু কিছু গাড়িও চলতে দেখা গেছে। দুপুরের আগেই বেশ কিছু সড়কে নেমে আসেন বিক্ষোভকারীরা। সরকারি দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশের হামলায় বাঁধে সংঘর্ষ। বিভিন্ন স্থানে গুলি, টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডে আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয় রাজধানী ঢাকা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন ছিল গতকাল রোববার। তাদের ঠেকাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নামেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। লাঠিসোঁটার পাশাপাশি তাদের অনেকের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে। কয়েকটি জায়গায় তাঁরা বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। কোনো কোনো স্থানে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়েন। কোনো কোনো স্থানে শটগানের গুলিও ছোড়া হয়। বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠি হাতে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী ও পুলিশকে ধাওয়া করেন।

দিনভর সংঘর্ষে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অন্তত আটজন নিহত হন। আহত হন কয়েক শ জন। এঁদের মধ্যে একটা বড় অংশ গুলিবিদ্ধ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ, শনিরআখড়া, নয়াবাজার, ধানমন্ডি, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, পল্টন, প্রেসক্লাব এবং মুন্সিগঞ্জ থেকে ২২২ জন আহত হয়ে চিকিৎসার জন্য এসেছেন। এঁদের ৬৩ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গুলিবিদ্ধ ৪১ জনকে ধানমন্ডির বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে আহত অবস্থায় নেওয়া হয়েছে ৬০ জনকে। এর বাইরে উত্তরা, যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন আহত অনেকে।

শাহবাগে দিনভর অবস্থান আন্দোলনকারীদের

এক দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। গতকাল দুপুরে
ছবি: আশরাফুল আলম

গতকাল দিনভর বিক্ষোভকারীদের একটা কেন্দ্র ছিল শাহবাগ মোড়। সকাল ১০টা থেকেই শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে ছিলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা। সাড়ে ১০টার দিকে বিপুলসংখ্যক বিক্ষোভকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির দিক থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন। তাঁদের ধাওয়া খেয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভেতরে ঢুকে যান। এ সময় দুই পক্ষ একে অন্যের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সেখানে একপর্যায়ের বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

বেলা ১১টার পর থেকে বিভিন্ন স্থান থেকে একের পর এক মিছিল এসে শাহবাগে বিক্ষোভকারীদের বড় জমায়েত হয়। বেলা ১২টার দিকে একটি অংশ বাংলামোটর মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের মোড় ও বাংলামোটরের পুলিশ বক্স এবং কাউন্সিলরের কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।

বেলা একটার দিকে পুলিশের মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়ে মিন্টো রোডে হামলা হতে পারে। তখন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে ডিবির বেশির ভাগ দলকে মিন্টো রোডে নিয়ে আসা হয়। এ সময় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বিভিন্ন দল ও বিশেষায়িত সোয়াত টিমকেও সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তবে এখানে কোনো হামলা বা সংঘর্ষ হয়নি।

দুপরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কারওয়ান বাজার ও সোনারগাঁও মোড়ে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ফার্মগেট পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুই পক্ষের হাতে লাঠিসোঁটা ছিল। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে আওয়ামী লীগ কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশ একের পর এক টিয়ারগ্যাসের সেল ও সাউন্ড গ্রেনেডে ছোড়ে। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগের কর্মীদের গুলি করতেও দেখা যায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ অনেককে হাসপাতালের দিকে নিতে দেখা যায়। তাঁদের মধ্যে দুজন মারা যান। সন্ধ্যায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা একযোগে আক্রমণ করলে বিক্ষোভকারীরা শাহবাগের দিকে চলে যায়। এ সময় তারা শাহবাগ থানা লক্ষ্য করে ইটের টুকরা নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও শটগানের গুলি ছুড়ে তাঁদের সরিয়ে দেয়।

সংহতি

এর আগে বেলা ৩টার দিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের নেতৃত্বে দলটির কয়েক হাজার কর্মী শাহবাগে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানান।

লাশ নিয়ে মিছিল

এদিকে সন্ধ্যার আগ দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ৩ জনের লাশ নিয়ে একদল বিক্ষোভকারীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। তাঁরা সেখান থেকে তারা শাহবাগের দিকে রওনা হয়। সাড়ে ৬টার দিকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এরপর ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যায় বিক্ষোভকারীরা।

তার আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাহবাগে দিনের কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেয় সেখানে থাকা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক এ বি জুবায়ের।

উত্তরায় দিনভর সংঘর্ষ

গুলিতে আহত একজনকে ধরাধরি করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে
ছবি: প্রথম আলো

উত্তরার আজমপুর এলাকায় দিনভর বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। আওয়ামী লীগের নেতাদের বসার জন্য রাস্তার ওপর তৈরি করা ক্যাম্পে ভাঙচুর চালানো হয়। একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিব হাসানের নেতৃত্বে দলটির নেতা-কর্মীরা উত্তরার ফ্রেন্ডস ক্লাবের সামনে থেকে জড়ো হয়। তারা রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্সের সামনে জড়ো হওয়ার বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সেখানে অন্তত ২২ জন গুলিবিদ্ধ হন। দুজনকে অনেকক্ষণ রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁরা বেঁচে আছেন কি না, সেটা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। উত্তরা আধুনিক হাসপাতালে ৯ জন ও ক্রিসেন্ট হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ ১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

উত্তরায় বিক্ষোভকারীদের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম নিহত হন।

বেলা একটার দিকে হাউস বিল্ডিং থেকে জসীমউদ্দিন পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দখলে নেন বিক্ষোভকারীরা। সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ চালায় তারা। সাড়ে ১২টার দিকে একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় তারা। বিকেল পাঁচটার পর এলাকাটি ছেড়ে চলে যায় বিক্ষোভকারীরা।

যাত্রাবাড়ী

সকাল ১০টার দিকেই যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেয়। বেলা ১২টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে চেয়ার পেতে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের। তখন তাদের ধাওয়া দেয় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় চেয়ার ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। দোলাইরপাড় এলাকাতেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া খেয়ে মোড় ছেড়ে দেয়। সেখানে স্থানীয় একটি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়।

বিকেলের দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে রাখা জলকামানে আগুন দেওয়া হয়। ওই এলাকায় থেমে থেমে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ দীর্ঘ সময়।

সন্ধ্যার পর যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অবস্থান নিয়েছে হাজারো বিক্ষোভকারী। অন্যদিকে দোলাইরপাড়ে অবস্থান নিয়েছেন আরেক দল। পুলিশ যাত্রাবাড়ীতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছে। সড়ক অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এই অংশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর, খিলগাঁও, গুলিস্তান, লক্ষ্মীবাজার, বাবু বাজার, রায় সাহেব বাজারেও সংঘর্ষ হয় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে। সন্ধ্যায় সংঘর্ষ তৈরি হয় বায়তুল মোকাররম এলাকায়। গুলিস্তান থেকে জহির উদ্দীন নামের এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিরপুর

মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরে বেলা ১১টার আগে মিরপুর-১৪ নম্বরের সংসদ সদস্য মাইনুল হোসেন নিখিলকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সমাবেশ করতে দেখা গেছে। বেলা ২টার দিকে কাজীপাড়ার দিক থেকে বিক্ষোভকারীদের একটি দলের মিরপুর-১০ নম্বরের দিকে যাওয়ার পথে পাল্টাপাল্টির ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় মিরপুর-১০ নম্বরে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা গুলিও ছোড়েন। পরে বিকেলের দিকে এলাকাটি ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বিক্ষোভকারীরা এলাকাটি ছেড়ে চলে যান। কিছু যান চলাচল শুরু হয়।

সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর

সায়েন্স ল্যাব এলাকায় বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিক্ষোভ করছেন বিক্ষোভকারীরা। দুপুরে সেখানে পুলিশ বক্স ভাঙচুর করা হয়েছে। তখন আশপাশে পুলিশ দেখা যায়নি। ওই এলাকার সড়ক বিভাজক ভাঙচুর করা হয়েছে। সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে পোশাক ব্র্যান্ড ইয়োলোর শোরুম ও ইয়োলো ক্যাফের ভবনে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা সায়েন্স ল্যাব এলাকায় অবস্থান করতে দেখা গেছে।

ধানমন্ডি ২৭ নম্বর সড়কে বেলা ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় দলটির নেতা-কর্মীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। গুলি ছোড়ার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। ধাওয়া খেয়ে বিক্ষোভকারীরা ২৭ নম্বর সড়কের মাঝামাঝি চলে যান। বিকেল পর্যন্ত ধানমন্ডির বিভিন্ন এলাকায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়।

পাশের এলাকা মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা ও লালমাটিয়ায়ও সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।

সড়কে গ্রাফিতি এঁকে এক শিক্ষার্থীর প্রতিবাদ। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বাড্ডায়
ছবি: সুমন ইউসুফ

রামপুরা-বাড্ডা

সকাল থেকেই রামপুরা ও বাড্ডা এলাকায় বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাধারণ মানুষও সড়কে নামে। তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে।

দুপরের দিকে মেরুল-বাড্ডা এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম আওয়ামী লীগের কর্মীদের নিয়ে মূল সড়কে যাওয়ার চেষ্টা করে। শিক্ষার্থীদের ধাওয়া খেয়ে তিনি চলে যান।

রাত আটটা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা রামপুরা ব্রিজের ওপর সড়ক অবরোধ করে রাখে। তারা অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলতে দেয়নি। পরে তারা চলে যায়।

অন্যান্য এলাকা

খিলগাঁও এলাকায় দিনভর বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ হয়। পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার মোড় থেকে ভিক্টোরিয়া পার্ক পর্যন্ত পুরো এলাকাজুড়ে দফায় দফায় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। পুরান ঢাকায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন