ফেনীতে বিক্ষোভের মুখে রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পদত্যাগ

ফেনী জেলার মানচিত্র

শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেছেন ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোমিনুল হক। আজ সোমবার তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর আগে গতকাল রোববার বিক্ষোভ ও চাপের মুখে পদত্যাগ করেছেন ফেনীর শহীদ মেজর সালাউদ্দিন (বীর উত্তম) হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীম আক্তার।

কয়েক দিন থেকে রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শহীদ মেজর সালাউদ্দিন (বীর উত্তম) হাইস্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী তাঁদের পদত্যাগের দাবিতে সভা সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আসছিলেন।

স্থানীয় ব্যক্তিরা অভিযোগ করেন, বিগত আওয়ামী লীগের শাসন আমলে রাজাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোমিনুল হক কলেজের নানা অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি ওই স্কুল অ্যান্ড কলেজের দায়িত্বে ছিলেন।

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোমিনুল হক জানান, তিনি আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে পদত্যাগ করেছেন। তিনি কোনো ধরনের অনিয়ম করেননি।

তাঁকে পদত্যাগের জন্য আগেই বলা হয়েছিল বলে জানান কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আকরাম হোসেন হুমায়ুন।

এদিকে ফেনীর বারাহিপুরে অবস্থিত শহীদ মেজর সালাউদ্দিন (বীর উত্তম) হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শামীম আক্তারের বিষয়ে স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান, শামীম আক্তার ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। সাবেক এমপি নিজাম হাজারীর বিশেষ হস্তক্ষেপে তাঁকে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত করা হয়। নিজাম হাজারীর কারণে তাঁর অনিয়মের বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি। গতকাল রোববার বিক্ষোভের পর শামীম আক্তার তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়ে সিনিয়র শিক্ষক অর্চনা রানি চক্রবর্তীর নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

তবে স্কুল থেকে বের হয়ে শামীম আক্তার বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করিনি। কিছুদিন আমার অনুপস্থিতিতে আমার দায়িত্ব অন্য শিক্ষকের নিকট হস্তান্তর করেছি।’

এ বিষয়ে ফেনী সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক শামীম আক্তার থেকে জোর করে অব্যাহতিপত্র নেওয়া হয়েছে বলে তিনি মোবাইলে জানিয়েছেন। তবে আমরা অফিশিয়ালভাবে এখনো কিছু পাইনি।’