বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে চায় চীন

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিংছবি: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে চীন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। তিনি বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গভীর হয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন খাতে ফলপ্রসূ ও বাস্তবসম্মত সহযোগিতা অব্যাহত থেকেছে।

বৃহস্পতিবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মাও নিং। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে মুখপাত্রের প্রশ্নোত্তরগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়, ৮ থেকে ১০ জুলাই চীন সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরের বিষয়ে মাও নিংয়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে কীভাবে দেখছে বেইজিং?

জবাবে মাও নিং বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটা তাঁর প্রথম চীন সফর। শেষবার চীন সফরের পাঁচ বছর পর তিনি এ সফর করছেন। সফরে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাবেন এবং দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক হবে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন দুই প্রধানমন্ত্রী। চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে চলে আসা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক কীভাবে আরও গভীর করা যায়, উভয়পক্ষের জন্য লাভজনক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং অভিন্ন স্বার্থের আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি নিয়ে মতবিনিময় করবেন দুই দেশের নেতারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগবিষয়ক একটি সম্মেলনেও যোগ দেবেন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশ ভালো প্রতিবেশী, ভালো বন্ধু ও ভালো অংশীদার। আমাদের একই ধরনের উন্নয়ন লক্ষ্য ও সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়ন কৌশল রয়েছে। ৪৯ বছর আগে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্মান ও সমতার সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে উভয়ের জন্য লাভজনক সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে একে অপরকে সমর্থন জানিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে দুই দেশ সম্মিলিতভাবে আধুনিকায়নের দিকে এগিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারত্ব গভীর হয়েছে উল্লেখ করে মাও নিং বলেন, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি মূলনীতির চেতনাকে এগিয়ে নিতে, পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা গভীর করতে, উন্নয়ন কৌশলগুলোকে আরও শানিত করতে, ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে, বৈশ্বিক উন্নয়ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন গতিশীল করতে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেওয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন।

আরও পড়ুন