বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে মাঝনদীতে নৌকা ডুবে দুই বান্ধবীর মৃত্যু
দুজনের নামই সামিয়া আক্তার। পড়ত একই বিদ্যালয়ের একই শ্রেণিতে। গতকাল সোমবার একসঙ্গে বিদ্যালয়ে এসেছিল দুই বান্ধবী। ছুটির পর একসঙ্গে বাড়িতে ফিরছিল। পথে মাঝনদীতে খেয়া পারাপারের সময় নৌকা ডুবে দুই বান্ধবীর মৃত্যু হয়েছে।
ওই দুই বান্ধবী কুমিল্লার হোমনা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর কামাল স্মৃতি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গতকাল বিকেলে উপজেলার কানাই সাহা ঘাট–সংলগ্ন তিতাস নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত দুই শিক্ষার্থী হলো পাশের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরলহনীয়া গ্রামের মো. গোলাম মোস্তফার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১২) ও একই গ্রামের মো. মুসা মিয়ার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৩)।
স্থানীয়রা বলেন, ছাত্রীরা প্রতিদিনই খেয়া নৌকায় নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে আসে, আবার ছুটির পর একইভাবে নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। প্রতিদিনের মতো গতকালও ২০ থেকে ২৫ জন শিক্ষার্থী খেয়া নৌকায় করে বাড়ি ফিরছিল। মাঝনদীতে নৌকা ডুবে যায়। অন্যরা তীরে উঠতে পারলেও দুই সামিয়ার মৃত্যু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. মনির হোসেন ও মো. ইসমাইল বলেন, খেয়া নৌকাটি কানাই সাহ ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। নৌকাটি নদীর মাঝামাঝি যেতেই পাশ দিয়ে ইঞ্চিনচালিত ট্রলার কুমিল্লার মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই ট্রলারে সৃষ্ট ঢেউয়ের ধাক্কায় খেয়া নৌকাটি হেলেদুলে একদিকে কাত হয়ে ডুবে যায়। স্থানীয় লোকজন নদীতে খোঁজাখুঁজি করে প্রায় এক ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া দুই সামিয়াকে উদ্ধার করেন। তাদের হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, খেয়া নৌকায় নদী পার হতে গিয়ে দুই শিক্ষার্থী তিতাস নদীতে ডুবে মারা গেছে। কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীদের স্বজনেরা তাদের মরদেহ নিয়ে গেছেন।