অবরোধ তুলে নেওয়ার পর শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেলকে বাসচাপা দেওয়ার চেষ্টা
রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার ‘প্রগতি সরণি’ সড়ক থেকে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আজ মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে অবরোধ তুলে নেন। এ সময় ভিক্টর ক্লাসিক নামের একটি বাস আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেলকে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং গাড়ির চালক ও সহকারীকে মারধর করেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা এই সড়ক অবরোধ করেছিলেন। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল।
শিক্ষার্থীরা বলেন, সারাদিন তাঁরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছেন। বিকেল সোয়া চারটার দিকে তাঁরা রাস্তা ছেড়ে দেন। এ সময় ভিক্টর ক্লাসিক নামের একটি বাস আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেল চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তখন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই গাড়ির ভাঙচুর চালান।
আরিফুল ইসলাম নিলয় নামের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাস্তার ছেড়ে দেওয়ার পর আমি বাইকটি নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। তখন বাসটি আমার বাইককে চাপা দেয়। অল্পের জন্য আমি প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’
আজ বেলা সোয়া ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় তাঁরা ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘কোটা না মেধা মেধা’, ‘লাঠিসোঁটা, টিয়ার গ্যাস জবাব দেবে বাংলাদেশ’ বলে স্লোগান দেন।
কোটা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। রাত ৯টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। এ ছাড়া জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েও রাতভর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।