বাসা থেকে ধরে নিয়ে শাহ আমানত বিমানবন্দরের কর্মচারীকে খুন

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কর্মচারী উসমান সিকদারছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক কর্মচারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম উসমান সিকদার। তিনি বিমানবন্দরের সিভিল অ্যাভিয়েশনের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোড থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত উসমান সিকদারের বড় ভাই এমরান সিকদার হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক। আজ সকালে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরসংলগ্ন সরকারি কোয়ার্টারের বাসায় থাকতেন তাঁর ভাই। গতকাল বুধবার রাত তিনটার দিকে তাঁর ভাইকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায় সাত থেকে আটজনের একটি দল। অনেক খোঁজাখুঁজির পর বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন লোকজন।

এমরান সিকদার আরও বলেন, পূর্ববিরোধের জেরে তাঁর ভাইকে খুন করা হয়েছে। মাথায় লাঠির আঘাত রয়েছে। এ ছাড়া পুরো শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করেন এমরান সিকদার।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, বিমানবন্দরসংলগ্ন লিংক রোডে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উসমান সিকদারকে খুন করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।