রোয়াংছড়িতে ধসে পড়া সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করেন বাসিন্দারা

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির নোয়াপতং খালের ওপর ধসে পড়া সেতু। গত মঙ্গলবার দুপুরে তোলাপ্রথম আলো

সেতুর এক পাশ ধসে পড়েছে খালে। ঝুঁকিপূর্ণ সেই সেতু দিয়েই চলাচল করছেন নারী-শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষেরা। এমন চিত্র বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার মুরুক্ষ্যংমুখপাড়া সেতুর। উপজেলার মুরুক্ষ্যংমুখপাড়া-সোনাইসেপ্রুপাড়া সড়কের নোয়াপতং খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ধসে পড়ে চার বছর আগে। এরপর নতুন সেতু নির্মিত না হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে ধসে পড়া সেতু দিয়েই স্থানীয় বাসিন্দাদের চলাচল করতে হচ্ছে।

২০১২-১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সেতুটি নির্মাণ করে। ২০২০ সালে পাহাড়ি ঢলে সেতুটির এক পাশ ধসে পড়ে। সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে হয় পাঁচটি পাড়ার কয়েক হাজার মানুষকে। এসব পাড়া হলো গুংক্ষ্যংপাড়া, সোনাপাড়া, সোনাইসেপ্রুপাড়া, সাফোসেপাড়া ও ভূটাংপাড়া।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সেতুটির কারণে সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সোনাইসেপ্রুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বর্ষাকালে বিভিন্ন সময় পাহাড়ি ঢল ধসে পড়া সেতুর ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ সময় সেতুর দুই পাশে রশি বেঁধে শিশুদের পার করতে হয়।

সম্প্রতি মুরুক্ষ্যংপাড়ার বাসিন্দা উমেনু মারমা ও অংসিংমং মারমার সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা বলেন, বৃষ্টি হলেই শিশুদের পারাপার কীভাবে করবেন, তা নিয়ে অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। ধসে পড়া সেতুটি অসংখ্যবার সরকারি কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে গেছেন। কিন্তু নতুন সেতু চার বছরেও নির্মাণ করা হয়নি।

নোয়াপতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চ নু মং মারমা জানিয়েছেন, মুরুক্ষ্যংমুখপাড়া সেতু জরুরি ভিত্তিতে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। সেতুটি নির্মাণের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরকে (এলজিইডি) সুপারিশ করেছেন।

এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বলেন, মুরুক্ষ্যংমুখপাড়া সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের অনুমোদন হলেই কাজ শুরু করা হবে।