রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রথম দফার জ্বালানি উৎপাদন সম্পন্ন
পাবনায় রূপপুরে নির্মিতব্য পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের জন্য ফ্রেশ জ্বালানির প্রথম দফার উৎপাদন শেষ হয়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরেই এই জ্বালানি বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) জ্বালানি কোম্পানি টেভেলের একটি প্রতিষ্ঠান নভোসিবিরস্ক কেমিক্যাল কনসেনট্রেটস প্ল্যান্টে (এনসিসিপি) আজ বুধবার এই জ্বালানির গ্রহণযোগ্যতা পরিদর্শন শেষ হয়। পরিদর্শনে অংশ নেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, এনসিসিপি, টেভেল এবং এতমস্ত্রয় এক্সপোর্ট (এএসই) প্রতিনিধিরা। সফলভাবে পরিদর্শন শেষ হওয়ার পর ‘গ্রহণযোগ্যতা প্রটোকলে’ স্বাক্ষর করেন রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর এবং এএসই ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নির্মাণ প্রকল্পের অপর প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি দেইরি। এর মধ্য দিয়ে পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদনকারী কারখানা থেকে বাংলাদেশে পরিবহনের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন নিশ্চিত হলো।
রোসাটমের জনসংযোগ প্রতিষ্ঠানের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। এতে টেভেলের কোয়ালিটি ডিরেক্টর আলেক্সান্দার বুখালভ বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য উন্নত ও কার্যকর পারমাণবিক জ্বালানি উৎপাদন করা হয়েছে।
আলেক্সি দেইরি বলেন, রূপপুর প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে যাচ্ছে। রোসাটমের প্রকৌশল শাখা সকল ক্ষেত্রেই তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পুরোপুরিভাবে পূরণ করছে।
বাংলাদেশকে যে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে, তা বর্তমানে সক্রিয় ভিভিইআর–১২০০ রিঅ্যাক্টরভিত্তিক তিনটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিটে ব্যবহৃত হচ্ছে। এগুলো হলো লেনিনগ্রাদ এনপিপি, নভোভারোনেঝ এনপিপি এবং বেলারুশ এনপিপি।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্ট্রাক্টর রোসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। প্রতিটি ইউনিটে থাকছে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর রিঅ্যাক্টর, যেগুলো সব আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা চাহিদা পূরণে সক্ষম।