মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে জিমি কার্টারের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন অধ্যাপক ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে রাজধানীর বারিধারায় মার্কিন দূতাবাসে খোলা শোক বইয়ে সমবেদনা জানিয়ে একটি বার্তা লেখেন অধ্যাপক ইউনূসছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নোবেলজয়ী সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বারিধারায় মার্কিন দূতাবাসে গিয়ে প্রয়াত এ মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, দুপুর পৌনে ১২টার দিকে মার্কিন দূতাবাসে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট কার্টারের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন অধ্যাপক ইউনূস। এ সময় দূতাবাসে খোলা শোক বইতে সমবেদনা জানিয়ে একটি বার্তা লেখেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টাকে মার্কিন দূতাবাসে স্বাগত জানান দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মেগান বউল্ডিন। দূতাবাসে স্বল্প সময় অবস্থানকালে জিমি কার্টারের সঙ্গে নিজের দীর্ঘ বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণা করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে কার্টারের বাড়িতে ভ্রমণের কথাও মেগান বউল্ডিনকে বলেন তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও শান্তির বিষয়ে বিশ্বব্যাপী একজন চ্যাম্পিয়ন ছিলেন প্রেসিডেন্ট কার্টার। এ সময় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে কার্টারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন তিনি।

১৯৮৬ সালে জিমি কার্টারের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধান উপদেষ্টা। কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে এ দেশে তাঁর প্রভাব সৃষ্টিকারী কর্মকাণ্ডের ব্যাপক প্রশংসা করেন তিনি।

স্থানীয় সময় গত রোববার বিকেলে জর্জিয়ার প্লেইনস শহরে নিজ বাড়িতে মারা যান জিমি কার্টার। তাঁর বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। ১৯৭৭ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৮১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। ২০০২ সালে তাঁকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়।