ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলা: সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুলের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে আট দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মো. জিয়াদুর রহমান আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) অনুপ কুমার দাস।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলামকে গতকাল সোমবার রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
পুলিশ ও আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আজ সকাল সাড়ে সাতটার পর কামরুল ইসলামকে আদালতের হাজতখানায় হাজির করা হয়। এরপর মাথায় পুলিশের হেলমেট ও বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে তাঁকে আদালতের এজলাসকক্ষে তোলা হয়। পরে ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তাঁকে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ওয়াদুদ হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের শনাক্ত-গ্রেপ্তারের জন্য আসামি কামরুল ইসলামকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।
অন্যদিকে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদন নাকচের আরজি জানানো হয়। একই সঙ্গে কামরুল ইসলামের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানির সময় কামরুল ইসলাম নিজেও আদালতের কাছে দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ।
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কামরুল ইসলামের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ওয়াদুদ হত্যা মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই বিকেল পাঁচটায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর ফটকের সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ মিছিলে কিছু আসামির যোগসাজশ, উসকানিমূলক বক্তব্য ও সরাসরি নির্দেশে গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে ঘটনাস্থলে ওয়াদুদসহ অনেক ছাত্র-জনতা-পথচারী আহত হন। আবদুল ওয়াদুদ (৪৫) নিউমার্কেট এলাকার প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের নিজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
এ ঘটনায় ওয়াদুদের আত্মীয় আবদুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় মামলা করেন।