দুদকের আরেক মামলা থেকে বিএনপির খন্দকার মোশাররফ খালাস

বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেনফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আরেক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য  খন্দকার মোশাররফ হোসেন। একই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তাঁর ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১–এর বিচারক আবুল কাসেম আজ বৃহস্পতিবার এই রায় দেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম।

পিপি মীর আহমেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, সরকারের ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর মামলা করে দুদক। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন খন্দকার মোশাররফসহ তিন আসামি।

খন্দকার মোশাররফ হোসেনের আইনজীবী মো. বোরহান উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৭ সালে তাঁর মক্কেল গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। সেই সময় দুদকের পক্ষ থেকে এই হয়রানিমূলক মামলাটি করা হয়েছিল। খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ তিনজন কোনো দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয়। যে ৪৮ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে তা ভিত্তিহীন।

আরও পড়ুন

মামলার এজাহারের তথ্য অনুযায়ী, আসামিদের বিরুদ্ধে পাতানো টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভূতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পের অধীনে বিদেশ গমনেচ্ছুক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিমানের ফিরতি টিকিট সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ না করার অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে সরকারি ক্রয়বিধি অনুসরণ না করে একটি ট্রাভেল এজেন্সিকে কার্যাদেশ দিয়ে ফিরতি টিকিট কেনার ফলে সরকারের ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০ টাকা আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে অভিযোগ আনা হয়।

দুদক ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ মামলায় খন্দকার মোশাররফ হোসেনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই অভিযোগ গঠন করেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে এ মামলায় ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনকে আদালতে হাজির করা হয়।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ২২ আগস্ট দুদকের করা মানি লন্ডারিং মামলা থেকে খালাস পান খন্দকার মোশাররফ হোসেন।