আনোয়ারুল আজীম হত্যা: ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের নেতা রিমান্ডে
সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের মামলায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ওই নেতা হলেন জেলা কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ (বাবু)।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক মেহেদী হাসান আজ রোববার এ আদেশ দেন।
প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) জালাল উদ্দীন।
এর আগে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আসামি কাজী কামাল আহমেদকে আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার অন্যতম আসামি খুলনা অঞ্চলের একসময়ের দুর্ধর্ষ চরমপন্থী সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়ার ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামালের নাম উঠে আসে। আসামির সঙ্গে শিমুলের হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত কাজী কামালকে সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
ডিবি আদালতকে জানিয়েছে, গতকাল শনিবার কাজী কামালকে রাজধানীর সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সম্প্রতি কলকাতায় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম খুনের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন খুলনা অঞ্চলের একসময়ের চরমপন্থী সন্ত্রাসী শিমুল ভূঁইয়া। জবানবন্দি দেন শিমুল ভূঁইয়ার ভাতিজা তানভীর ভূঁইয়াও। তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পেশাদার অপরাধী শিমুলের সঙ্গে তানভীরও এই খুনে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছেন। তিনি আনোয়ারুলকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যায় অংশ নেন। এ ছাড়া আদালতে জবানবন্দি দেন আরেক আসামি শিলাস্তি রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে উঠে এসেছে যে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তানভীর গত ৬ মে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে কলকাতায় যান। সেখানে সল্টলেক ও নিউ টাউনের মাঝামাঝি এলাকায় ত্রিশিব হোটেলে ওঠেন। তাঁদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সংসদ সদস্য আনোয়ারুলকে নানাভাবে প্রলুব্ধ করে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়।