তৃণমূলের বৈচিত্র্যের দিকগুলোর সম্মিলন জরুরি

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস সেমিনারে বক্তব্য দেন।ছবি: বিজ্ঞপ্তি

তৃণমূল পর্যায়ের বৈচিত্র্যের দিকগুলোর সম্মিলনে কাজ করা জরুরি। একই সঙ্গে সবার উচিত এ জন্য একটি একক কমিউনিটি হিসেবে অঙ্গীকার পালন করা। ‘লোকালাইজেশন’–বিষয়ক জাতীয় সেমিনারে এ কথা উঠে আসে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে সেভ দ্য চিলড্রেন ইন বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে। সহ-আয়োজক হিসেবে যুক্ত ছিল অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ, কেয়ার বাংলাদেশ, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ, হেলভেটাস বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল।

সেমিনারের উদ্দেশ্য ছিল লোকালাইজেশনকে একটি ধারণা ও প্রক্রিয়া হিসেবে তুলে ধরা এবং এর প্রভাব ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা।

সেমিনারে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, ‘লোকালাইজেশন এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতা বড় এক অর্জন। কারণ, স্থানীয় সংগঠনগুলো জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে এবং স্থানীয় কণ্ঠস্বরকে সামনে নিয়ে আসে। লোকালাইজশন মানে হচ্ছে তৃণমূল পর্যায়ের বৈচিত্র্যের দিকগুলোর সম্মিলনে কাজ করা এবং আমাদের সবার উচিত একটি একক কমিউনিটি হিসেবে অঙ্গীকার পালন করা।’

সেমিনারের প্রধান অতিথি এনজিও–বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, স্থানীয় এনজিওগুলোর কাজের সুযোগ প্রসারিত করার মাধ্যমে বিকেন্দ্রীকরণকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। তিনি চাহিদাভিত্তিক তহবিল ব্যবস্থা এবং সুসমন্বয়ের ওপর করার গুরুত্বারোপ করেন। সাইদুর রহমান বলেন, সঠিক মূল্যায়নের জন্য তথ্য সংগ্রহ করা এবং তথ্যভান্ডার তৈরি করা অপরিহার্য, যাতে সংস্থাগুলো স্থানীয়ভাবে তাদের প্রকল্পগুলোর কার্যকর বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়। একই সঙ্গে সফল প্রকল্পগুলোর প্রামাণ্য দলিল যাতে ডিজিটাল উপায়ে সবার জন্য সহজলভ্য করা যায়।

অনুষ্ঠানে সরকার, জাতিসংঘ, আইএনজিও, দাতা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রায় ১৩০ প্রতিনিধি অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশে সুইডেনের দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি ম্যাটিল্ডা সিয়াভসান, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, কেয়ার বাংলাদেশের ইনটেরিম কান্ট্রি ডিরেক্টর (প্রোগ্রাম) মেহরুল ইসলাম, কনসার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনিষ কুমার আগারওয়াল, হেলভেটাসের কান্ট্রি ডিরেক্টর প্রশান্ত ভারমা, সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুমন সেনগুপ্ত প্রমুখ।

সেমিনারে জানানো হয়, লোকালাইজেশনের একটি নির্দিষ্ট ধারণা ও পরিকল্পনা উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করেছেন, যা নারী, শিশু ও কমিউনিটির সদস্যদের অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে। মূল উপস্থাপকেরা লোকালাইজেশনের বর্তমান কর্মপদ্ধতি, সুযোগ-সুবিধা, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতে সম্ভাব্য ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তব্যে আইএনজিওগুলোর প্রত্যাশা এবং বাংলাদেশের জাতীয় এনজিওগুলোর লোকালাইজেশনের ব্যাপারে প্রস্তুতি সম্পর্কেও ধারণা তুলে ধরা হয়।