‘মব জাস্টিস’ রোধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
বেআইনি নির্যাতন, গণপিটুনি ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মতো ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নিতে রিট হয়েছে। ‘মব জাস্টিস’ বা ‘মব কিলিং’ বা ‘মব লিঞ্চিং’ তথা উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে বিচার বা হত্যা বা নির্যাতন রোধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ সোমবার রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। আদালত বিষয়টি ‘নট টুডে’ (সোমবার নয় অর্থাৎ এক দিনের জন্য মুলতবি) রেখেছেন।
‘মৃত্যুর আগে জাহাঙ্গীরনগরের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীমকে দফায় দফায় পেটানো হয়’ শিরোনামে ১৯ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে প্রতিবেদন ছাপা হয়। ‘“মধু হই হই” গান গাইতে গাইতে যুবককে পিটিয়ে হত্যা’ শিরোনামে বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের অনলাইন সংস্করণে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ দুটিসহ এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে ২৩ সেপ্টেম্বর রিটটি করা হয়।
রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, রুল চাওয়ার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রুল হলে বিচারাধীন অবস্থায় ‘মব জাস্টিস’ বা ‘মব কিলিং’ বা ‘মব লিঞ্চিং’ ঘটনা রোধে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন ও মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি নট টুডে রেখেছেন আদালত। অবকাশ শেষে শুনানি হতে পারে।
আসকের আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল হোসেন নামের এক ব্যক্তি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শামীম মোল্লা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে আবদুল্লাহ আল মাসুদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাসহ এ ধরনের ‘মব জাস্টিসে’ (উচ্ছৃঙ্খল জনতার হাতে বিচার) জড়িতদের খুঁজে বের করতে বিচারিক অনুসন্ধানের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে। অবকাশ শেষে ২০ অক্টোবর আদালত খুলবে। এরপর শুনানির জন্য রিটটি উপস্থাপন করা হবে।