অভ্যুত্থানে হতাহতদের সহায়তায় বিশ্বব্যাংকের কাছে ৫ মিলিয়ন ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ প্রত্যেকের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। একজনও বাদ যাবেন না। সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে। অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
এই কর্মকাণ্ডে বিশ্বব্যাংকের সহায়তা পাওয়ারও চেষ্টা চলছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত ব্যক্তিদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বরাদ্দ প্রস্তাব অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।’
আহত ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, প্রতিটি শহীদ পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৩০ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা বুলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার জন্য নেপাল থেকে কর্নিয়া আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাঁদের প্রয়োজন তাঁদের সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হচ্ছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের কোনো শহীদ ও আহত ছাত্র–শ্রমিক চিকিৎসাসেবা এবং পুনর্বাসন পরিকল্পনা থেকে বাদ যাবেন না উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অঙ্গীকার।’
এ প্রসঙ্গে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে গঠিত ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ বেশ পাকাপোক্তভাবে তাদের কাজ শুরু করেছে। এই ফাউন্ডেশনে সরকার ১০০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।