ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হত্যা মামলায় প্রধান শিক্ষকসহ গ্রেপ্তার ২

মামলাপ্রতীকী ছবি

ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পৃথক হত্যা মামলায় একজন প্রধান শিক্ষকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন হোসেন মোহাম্মদ ও শাহ আলম। গতকাল বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বিষ্ণুপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন মোহাম্মদ উপজেলার বগাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং একই ইউনিয়নের গুনক গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাসায় ফেরার পথে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফেনী সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়। অপর দিকে গতকাল সন্ধ্যায় ফেনী সদর উপজেলার লালপুল এলাকা থেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা শাহ আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার পশ্চিম ছিলোনীয়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল উড়ালসেতুর নিচে জমায়েতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এ সময় বারইয়ার হাট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছাইদুল ইসলামকে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে চলে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ফেনী সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। গ্রেপ্তার শাহ আলম ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি।

অপর দিকে, ৪ আগস্ট আন্দোলনের সময় ফেনী শহরের জেল রোডে সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের ফতেহপুর গ্রামের বাসিন্দা টমটমচালক জাফর উদ্দিনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় নিহত জাফর উদ্দিনের স্ত্রী বাদী ফেনী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। প্রধান শিক্ষক ও আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন মোহাম্মদ জাফর উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। এ ছাড়া তিনি আন্দোলনে আহত মহি উদ্দিন নামে একজনের দায়ের করা অপর একটি মামলারও এজাহারনামীয় আসামি।

ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ রুহুল আমিন প্রথম আলোকে জানান, তিন মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করে আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।