আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যালয়ে শিবিরের ৭ জনের অভিযোগ, আওয়ামী লীগসহ আসামি ৫৩
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত সাতজন ব্যক্তি।
অভিযোগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৫৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে পুরোনো হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অবস্থিত ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে তাঁরা এই অভিযোগ দেন।
ট্রাইব্যুনালে অভিযোগকারীরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের কর্মী মো. জনি ইসলাম, চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার শিবিরকর্মী মো. আবদুল করিম, চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার শিবিরের কর্মী মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকার ভাটারা থানা শিবিরের তৎকালীন সভাপতি মো. নুরুল আমিন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার একটি ইউনিয়নের তৎকালীন শিবির সভাপতি মো. কামারুজ্জামান। এ ছাড়া শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মো. আলমগীর হোসেন ও নোয়াখালীর মো. দেলোয়ার হোসেন।
অভিযোগ দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান। তিনি জানান, আজকে সাতটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেখানে চারজন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পঙ্গু হয়েছেন বা অঙ্গ হারিয়েছেন। একজন সাড়ে তিন বছর গুম থাকার পর এবং একজন সাড়ে তিন মাস গুম থাকার পর ফিরে এসেছেন। কামারুজ্জামান নামের একজন ২০১৭ সালে নিখোঁজ হয়েছেন, এখন পর্যন্ত তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাতটি অভিযোগ আলাদা আলাদাভাবে ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে দায়ের করা হয়েছে।
আবদুল্লাহ আল নোমান আরও জানান, আজকের সাতটি অভিযোগসহ ছাত্রশিবিরের সহযোগিতায় ট্রাইব্যুনালে এখন পর্যন্ত ১৭টি অভিযোগ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৬টি অভিযোগের ভুক্তভোগী ছাত্রশিবিরের কর্মী এবং একজন ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থী।
ছাত্রশিবিরের পক্ষে আবদুল্লাহ আল নোমান দাবি করেন, ‘জুলুম-নির্যাতনকারীরা যেন শাস্তির আওতায় আসে এবং নিখোঁজ ব্যক্তিরা যেন ফিরে আসেন, সেই দাবি জানাই।’