আরও জনশক্তি রপ্তানিতে মালয়েশিয়ার সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় যাতে আরও জনশক্তি যেতে পারে, সে ব্যাপারে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সফররত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে শুক্রবার বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই সহযোগিতা চান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অর্থনীতি সংস্কার’ কর্মসূচিতেও মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতারও অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, রোহিঙ্গা ইস্যু ও শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মতবিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তি রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশের জনশক্তি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিগত ৫৩ বছরে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, মানবসম্পদ যোগাযোগ, সংস্কৃতি, পর্যটন ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা ও অংশীদারত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আসন্ন ২০২৫ সালে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ায় মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, মালয়েশিয়ার দক্ষ নেতৃত্বে আসিয়ান আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়লগ পার্টনার’ হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থিতাকে সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এই সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, এই সফর দুটি দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বলে মালয়েশিয়ার জনগণ বাংলাদেশিদের খুবই ভালোবাসে। এই শ্রমশক্তির মালয়েশিয়া গমনের ক্ষেত্রগুলো স্বচ্ছ ও সহজ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নে কারিগরি সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এর আগে বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাঁকে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে বঙ্গভবনের ক্রেডেনশিয়াল হলে বৈঠক শেষে পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন তিনি।