গ্রামীণ কল্যাণের সাবেক ১০৬ কর্মী শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফা পাওয়ার অধিকারী বলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে সাবেক ১০৬ কর্মীর করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। পাশাপাশি আবেদনটি আগামী ১০ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ কল্যাণের চেয়ারম্যান।
গ্রামীণ কল্যাণের সাবেক ১০৬ কর্মী শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফা (২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত) পেতে শ্রম আইনের ২৩১ ধারায় শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে মামলা (ব্যাখ্যামূলক) করেন। এর শুনানি নিয়ে গত ৩ এপ্রিল শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল ওই রায় দেন। রায়ের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ৩০ মে হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই বিষয়ে পক্ষগুলোকে ছয় মাসের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। এই আদেশ স্থগিত চেয়ে সাবেক ১০৬ কর্মী লিভ টু আপিল করেন, যা আজ চেম্বার আদালতে ওঠে।
আদালতে সাবেক কর্মীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম রাব্বানী শরীফ। অন্যদিকে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে চেম্বার আদালত সাবেক ১০৬ কর্মীর আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে আগামী ১০ জুলাই শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন। ফলে ১০৬ কর্মী শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল থেকে মুনাফা পাওয়ার অধিকারী বলে আপিল ট্রাইব্যুনালের রায় আপাতত বহাল থাকল।
অবশ্য গ্রামীণ কল্যাণের আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রথম আলোকে বলেন, সাবেক কর্মীদের করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য আগামী ১০ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে নির্ধারণ করেছেন চেম্বার আদালত। ফলে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার আদেশ আপাতত স্থগিত থাকছে।