দেশের পরিবর্তনে তরুণদের রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের কথা ভাবতে হবে: দেবপ্রিয়
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, তরুণেরা সমাজ পরিবর্তনের জন্য যেসব ছোট উদ্যোগ নিয়েছেন, তা খুবই দরকারি। কিন্তু সত্যিকারে দেশের পরিবর্তন করতে হলে রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন ও সংস্কারের কথা ভাবতে হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের আয়োজনে ও ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষে ‘এসডিজি অর্জনে যুবদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেবপ্রিয় এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে হাঙ্গার প্রজেক্টের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের সদস্যদের উদ্দেশে দেবপ্রিয় বলেন, রাষ্ট্রের সংস্কার করা না গেলে বিচ্ছিন্নভাবে ছোট ছোট সংস্কার কাজে আসবে না। দায়িত্বশীল নাগরিক হতে হবে। এ জন্য ব্যক্তি উদ্যোগ, যৌথ চেষ্টা ও সামাজিক সক্রিয়তা প্রয়োজন। ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে। মানুষের প্রতি সহমর্মিতা থাকতে হবে। পরিবর্তন আনতে হলে ঝুঁকি নিতে হয়, কিছু ত্যাগ করতে হয়। দেশটা নিজের, সে দাবি করতে হবে।
দেশে শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে বেকারত্ব বেশি উল্লেখ করে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, মানসম্মত শিক্ষার অভাবে বেকারত্ব বেশি। এখনকার তরুণদের মধ্যে মাদকাসক্তি, মানসিক বিষণ্নতা, আত্মহত্যার প্রবণতা এবং উগ্রবাদী চিন্তা ঢুকে যাচ্ছে। ভবিষ্যতের পরিবর্তনের জন্য এসব মোকাবিলা করতে হবে।
দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টের গ্লোবাল ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর বদিউল আলম মজুমদার বলেন, যে সমাজে যত বেশি তরুণ থাকে, সে সমাজের সম্ভাবনা তত বেশি। সে সমাজে ঝুঁকি নেওয়ার লোক বেশি থাকে। তরুণ যেখানে বেশি, সেখানে সৃষ্টিশীলতা বেশি। এই তরুণদের প্রস্তুত করতে হবে। তাদের সেভাবে মানসম্মত শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে হবে।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ সাম্প্রতিক সময়ে অনেক আন্দোলন হয়েছে। কিন্তু তা কি সফল হয়েছে, প্রশ্ন করে বদিউল আলম বলেন, রাষ্ট্র মেরামত করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন করতে হবে। তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছোট ছোট কাজের সেতুবন্ধ করলেই সংস্কার আসবে। নাগরিকের ভূমিকায় সক্রিয় ও সোচ্চার হতে হবে। রাষ্ট্রকাঠামো পরিবর্তন করতে হলে নাগরিক দায়িত্ব পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এসডিজি সেলের ফোকাল পয়েন্ট উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইনক্লুসিভ প্রজেক্ট ম্যানেজার আবদুর রহমান খান ও হাঙ্গার প্রজেক্টের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শশাঙ্ক বরণ রায়। অনুষ্ঠানে তরুণেরা নিজেদের বিভিন্ন কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।