শপথ নিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নতুন ৪ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে যুক্ত হলেন আরও চারজন উপদেষ্টা। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ শুক্রবার বিকেল ৪টা ১১ মিনিটে বঙ্গভবনের দরবার হলে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতেই নতুন চার উপদেষ্টা শপথ নিলেন। নতুন উপদেষ্টারা হলেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান ও বাংলাদেশ রাইফেলসের সাবেক মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শপথবাক্য পাঠ করার পর তাঁরা প্রত্যেকে উপদেষ্টার শপথ ও গোপনীয়তার শপথে স্বাক্ষর করেন। এর মধ্য দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে এখন উপদেষ্টার সংখ্যা দাঁড়াল ২১–এ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এ সময় কয়েকজন উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। তাঁদের সঙ্গে নতুন এই চার উপদেষ্টা যোগ দিচ্ছেন। নতুন উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন এখনো হয়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে রয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন ও সেতু, খাদ্য, কৃষি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্ব।
অন্য উপদেষ্টাদের মধ্যে সালেহউদ্দিন আহমেদকে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়; অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আইন; আদিলুর রহমান খানকে শিল্প; হাসান আরিফকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়; মো. তৌহিদ হোসেনকে পররাষ্ট্র; সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন; শারমিন এস মুরশিদকে সমাজকল্যাণ; ফারুক-ই-আজমকে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেনকে স্বরাষ্ট্র; সুপ্রদীপ চাকমাকে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক; বিধান রঞ্জন রায়কে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা; আ ফ ম খালিদ হোসেনকে ধর্ম; ফরিদা আখতারকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ; নুরজাহান বেগমকে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ; মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।